ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগী, দোকানে ওষুধের সংকট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২; সময়: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ |
ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগী, দোকানে ওষুধের সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী : ‘প্রথমে ছেলের হয়েছে। পরে স্ত্রীর। এখন আমার। গত এক সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে ঘরের সবারই চোখ উঠেছে।’ বলছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর সদর বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সেলিম ইসলাম। তবে ওষুধপত্র ছাড়াই সবাই সুস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সেলিমের মতো এই উপজেলার অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন চোখ ওঠা রোগে। একই সময়ে এত বেশি মানুষ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে চোখের ড্রপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমের এ সময়ে কমবেশি সবাই চোখ ওঠা রোগে ভুগছেন। পরিবারের একজন থেকে শুরু হয়ে সবাই সংক্রমিত হচ্ছেন এ রোগে। জটিল না হওয়ায় এ রোগের চিকিৎসা নিতে অনীহা অনেকের। তবে যাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে চাচ্ছেন তাঁরা চিকিৎসক ও ফার্মেসি থেকে চোখের ড্রপ নিয়ে রোগ সারছেন।

প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী নারী-পুরুষ এ রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই সময়ে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ফার্মেসিগুলোয় চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাঁরা এ রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন তাঁদের বিনা মূল্যে ড্রপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পাকশী ইউনিয়নের গাইড ব্যাংক পাড়া গ্রামের জাহিদ হাসান মুক্তার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে চোখ উঠেছে। এত দিন চিকিৎসা না নিলেও দুদিন আগে স্থানীয় ফার্মেসিতে চোখের ড্রপ আনতে গিয়ে পাইনি। চোখের ড্রপের সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছে ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ।’

পৌর সদরের বাজারের মেসার্স লিপন ও শেখ ফার্মেসিতে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।

ইবনে সিনা ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ঈশ্বরদী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মেডিকেল প্রমোশন কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘একই সময়ে সারা দেশে চোখের ড্রপের চাহিদা দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বরাদ্দ কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই পর্যাপ্ত চোখের ড্রপ সরবরাহ হবে বলে আশা করছি।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান বলেন, ‘চোখ ওঠা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা ছাড়াই অনেক সময় এ রোগ সেরে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখের ড্রপের কোনো সংকট নেই।’

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে