আগামী পাঁচ বছরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘটনার অপেক্ষায় চীন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২; সময়: ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ |
আগামী পাঁচ বছরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘটনার অপেক্ষায় চীন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামী পাঁচ বছরের জন্য চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেস। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই কংগ্রেসে সিসিপির ৯০ মিলিয়ন সদস্য অংশগ্রহণ করবে।

সিসিপি’র চেয়ারম্যান শি জিন পিং তার ক্ষমতার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তিনি হয় সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হবেন অথবা সিসিপির চেয়ারম্যান হিসাবে নতুনভাবে নির্বাচিত হবেন। চেয়ারম্যানের এ টাইটেলটি ১৯৯২ সাল থেকে সুপ্ত ছিল। একসময় মাও সেতুং এই সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

এমন সময়ে এ কংগ্রেসটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে দেশগুলো একটি বিপজ্জনক সময় পার করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন মহান রাশিয়ান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, যার ফলে ইউক্রেনের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে চীন পুতিনের কট্টর সমর্থক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে।

একই সময়ে তাইওয়ান প্রণালির উত্তেজনা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কারণ চীন তাইপেকে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির পরবর্তী প্রভাব এবং কোভিড-১৯-কে থামানোর জন্য চীনের নিজস্ব কঠোর প্রচেষ্টা।

প্রেসিডেন্ট শি চীনে খুবই শ্রদ্ধাভাজন এবং কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে পরিচিত। তিনি কংগ্রেসের সময়কালে এমন ভান করতে পারেন যে, তার আমলে সবকিছুই শান্ত। যেহেতু তিনি নির্বিঘ্নে সিসিপি’র সর্বোচ্চ স্তরে বসে আছেন, তাই তিনি চাইবেন আরও বেশি করে তার অনুসারীদের শীর্ষ পদে নিয়োগ দিতে, যাতে তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজের সব ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে পারেন।

প্রকৃতপক্ষে, ২০তম জাতীয় কংগ্রেস শুধুমাত্র চীনের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

এ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাটি বিশ্লেষণ করতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের জন এল থর্নটন চায়না সেন্টার গত ৪ অক্টোবর কংগ্রেস সম্পর্কে একটি আলোচনার আয়োজন করে। সেই আলোচনার শিরোনাম ছিল, ‘চীনের ক্ষমতাধারী ব্যক্তি কি আরও শক্তিশালী হবেন?’

জন এল থর্নটন চায়না সেন্টারের ডিরেক্টর এবং ব্রুকিংসের একজন সিনিয়র ফেলো চেং লি জানিয়েছেন, ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের আগে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়নি। তিনি জানান, এটা খুব অবাক করা ব্যাপার যে বিশ্ব সত্যিই জানে না, পরবর্তী পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কে থাকবেন। বিরোধী দলগুলোও কোনো গুজব প্রকাশ করেনি- যা থেকে তাদের উচ্চমাত্রার শৃঙ্খলা এবং ঐক্য বোঝা যায়।

কংগ্রেসের ২ হাজার ২৯৬ জন প্রতিনিধির মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের জীবনীই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে রয়েছে। লি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট শি’র কাছে কোনো বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক বা নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নেই এবং যদি কোনো অপ্রত্যাশিত পদোন্নতি ঘটে, তাতেও কংগ্রেসে বড় চমক থাকবে না। এই একাডেমিক বলেছেন, ‘সব দিক থেকেই শি জিন পিং, তার দায়িত্ব বজায় রেখেছেন।’

লি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, ‘বিশেষ প্রথম মেয়াদে, শি জিন পিং তার রাজনৈতিক মিত্রদের কাজের পদ্ধতির মাধ্যমে দেশ শাসন করেছেন। এখন, পরবর্তী মেয়াদের জন্য, তিনি প্রধানত তার অনুসারীদের একটি দল দ্বারা দেশ শাসন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মিত্র এবং প্রতিপক্ষের মধ্যে পার্থক্য জানি, আর এটাই তাকে শক্তিশালী করছে।’

লি আরও উল্লেখ করেছেন, যদিও শি বিদেশে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েন, তবুও তিনি এখনও নিজ দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি এর জন্য তিনটি কারণ তালিকাভুক্ত করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, কম দূষণ ও সবুজ উন্নয়ন; এবং পিপলস লিবারেশন আর্মিতে (পিএলএ) সংস্কার।

ব্রুকিংসের এই প্রতিনিধি বলেছেন, পিএলএ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে স্থল বাহিনীর উপর জোর দেওয়া পুরানো সোভিয়েত মডেল থেকে পিএলএ যৌথ বাহিনীর মডেলে সরে যাওয়া। প্রেসিডেন্ট শি পরিষেবা এবং অপারেশনাল দিকগুলোর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এবং নিজের প্রতি অনুগত নেতাদের পদোন্নতি প্রদান করেছেন।

এক অর্থে বলা যায়, প্রেসিডেন্ট শি দশ বছর আগে সিসিপিকে পতনের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন, কারণ এর মাঝে বিভেদ, কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতি দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। লি এই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমার পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কলেজের ছাত্ররা দশ বছর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করতে খুব কম আগ্রহী ছিল। কিন্তু দশ বছর পরে, চীনের অভিজাত স্কুলগুলোতে একটি বিশাল শতাংশ রয়েছে যারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছে, বা দিতে চায়। এর অর্থ এই নয় যে তারা কমিউনিজম বিশ্বাস করে। তারা এটা বিশ্বাস করে যে, কমিউনিস্ট পার্টি তাদের সঙ্গে আরও দীর্ঘ সময় থাকবে।’

এই সমস্ত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রেসিডেন্ট শি ভালোভাবেই এটা জানেন যে, সিসিপি কংগ্রেসে ব্যয় করার জন্য তার রাজনৈতিক মূলধন রয়েছে।

তবে চীনের সব নাগরিকই যে প্রেসিডেন্ট শির প্রতি আকৃষ্ট, তা নয়। যারা শি’কে খুব একটা পছন্দ করেন না, তারাও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন যা অর্জন করেছে তার জন্য গর্বিত। লি বলেছেন, ‘কিছু সমালোচনা, কিছু বিরক্তি ঘটতে পারে। কিন্তু একইসঙ্গে, এই মানুষগুলোও চায় বৈশ্বিক মঞ্চে চীনের উত্থান হোক। কিছু বিষয়ে তারা চীনের প্রতি মার্কিন নীতির সমালোচক এবং অবশ্যই তারা তাইওয়ান সম্পর্কে জাতীয়তাবাদী। তাই বিষয়টি একটু জটিল। আপনি কিছু বিষয়ে উদার হতে পারেন, আবার আপনি অনুভূতির পরিমাপের ক্ষেত্রে রক্ষণশীলও হতে পারেন।’

তবে কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, চীন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং অতিরিক্ত ভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে। চীনে বিশ্বের সেরা ভ্যাকসিন না থাকলেও, প্রাথমিকভাবে কঠোর লকডাউন প্রয়োগ করার কারণে দেশটি বিশ্বাসযোগ্যভাবে কম সংক্রমণের হার অর্জন করেছে।

যদিও এই নীতিতে পরিবর্তনের আভাস রয়েছে, কারণ এরইমধ্যে দেশটি শুধুমাত্র ‘জিরো টলারেন্স’ এর পরিবর্তে ‘ডায়নামিক জিরো টলারেন্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছে। জনস্বাস্থ্যের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন, কোভিড-১৯ কে চীনে নিয়মিত ফ্লু হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চীন কিছুদিন পর হয়তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য নিজের দ্বার উন্মুক্ত করবে, যখন এটি করবে, তখন এর একটি তীক্ষ্ণ প্রতিফলন হবে। তবে এটা যেভাবেই ঘটুক না কেন, চীন নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করবে এটা বলাবাহুল্য।

প্রেসিডেন্ট শি ক্ষমতার জায়গা থেকে বেশিরভাগ বিরোধীদেরই সরিয়ে দিয়েছে। এর অর্থ হলো, নিজের পার্টিতে শীর্ষ পর্যায়ে তিনি বেশ জনপ্রিয়, এদের মধ্যে প্রায় সবাই তার অনুগত। তবে চেং লি’র ধারণা কয়েক বছরের মধ্যে শি’র নিজের সমর্থকদের মধ্যে থেকেও একটি নতুন দলের উত্থান হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট শি নিজে এই হুমকি সম্পর্কে সচেতন এবং সতর্ক থাকবেন বলেই আশা করা যাচ্ছে।

সিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে ৩৭৬ জন সদস্য আছে। এই কমিটিতে একটি বড় পরিবর্তন ঘটবে, সম্ভবত তাদের দুই-তৃতীয়াংশই পরিবর্তন হবে। যদিও এই পরিবর্তনের হার একটু বেশি, তবে এমন পরিবর্তন বিরল নয়। এরইমধ্যে শুদ্ধিকরণ এবং দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক পরিবর্তন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি।

লি-এর ধারণা অনুসারে ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরোর জন্য ২৫ এর মধ্যে ১৫ জনই নবাগত হবেন। নতুনদের মাঝে ৭-৮ জন বুদ্ধিজীবী বা প্রযুক্তিবিদ থাকতে পারেন- যেমন বিজ্ঞানী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। এতে প্রমাণিত হয়, প্রেসিডেন্ট শি প্রযুক্তিগত এবং বেসামরিক-সামরিক সংমিশ্রণের ওপর জোর দিচ্ছেন।

অন্যদিকে, পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি- যার সদস্য বর্তমানে মাত্র সাত জন, সেখানেও আসবে বড় পরিবর্তন। ওই কমিটিতে নতুন করে চারজন যুক্ত হতে পারেন, তারা স্বভাবতই তরুণ প্রজন্মের হবেন। তবে প্রেসিডেন্ট শি কাকে বাদ দেবেন, আর কাকে অন্তর্ভুক্ত করবে, তা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।

শি কি অনির্দিষ্টকালের জন্য শাসন করবেন?

সিনিয়র ফেলো চেং লির ধারণা থেকে জানিয়েছেন, এটি প্রেসিডেন্ট শির তৃতীয় মেয়াদ হবে। তিনি চতুর্থ মেয়াদে থাকবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে তার পার্টি তৃতীয় মেয়াদকে সমর্থন করেছে। শি জিন পিং সম্ভবত চতুর্থ মেয়াদের জন্য পরিকল্পনা করতে পারেন, তবে এর পুরোটাই নির্ভর করছে পরের পাঁচ বছরের ওপর। তবে শি জিন পিং যে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছেন এ যুক্তি লি মানতে চাইছেন না।

লি আরও জানান, তিনি প্রায় শতভাগ আত্মবিশ্বাসী যে শি এ সময়ে কোনো উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করবেন না। কারণ নাম ঘোষণার সময় হিসেবে এটা খুব জলদি হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট শি তাই ইচ্ছাকৃতভাবে পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বেশ কয়েকজন নতুন তরুণকে এনে এটাকে অস্পষ্ট করে তুলতে পারেন, যাতে উত্তরসূরির নাম সুস্পষ্ট না হয়।

অন্যদিকে, শি অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরসূরির নামকরণ বন্ধ রাখতে পারবেন না। সুতরাং, তারা প্রক্রিয়াটিকে কিছুক্ষণের জন্য বিলম্বিত করছে, তবে তা খুব বেশি দীর্ঘ হবে না। আর এটা যদি বেশি দীর্ঘ হয়, তবে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর ওপর চাপ বাড়বে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর পদত্যাগ এখন সময়ের ব্যাপার। লি’র স্থলাভিষিক্ত হতে পারে এমন চার প্রার্থীকে তালিকাভুক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট শি। প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী একজন উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাই তারাও এই তালিকায় থাকতে পারেন।

প্রিমিয়ার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য চার প্রার্থী হলেন হান ঝেং, হু চুনহুয়া (যিনি হু জিনতাও-এর অনুগামী ছিলেন), লিউ হে এবং ওয়াং ইয়াং। এদের মধ্যে যাকেই বেছে নেয়া হোক না কেন, এটি শির নীতিগত বিবেচনার বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে। তিনি বর্তমান নীতি বজায় রাখতে চান (যেমন ঝেং), নেতৃত্বের ঐক্য চান (যেমন হু, যেহেতু তিনি একটি ভিন্ন দল থেকে এসেছেন) নাকি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দিতে চান (যেমন লিউ, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করতে পারেন) তা বোঝা যাবে।

লি কেকিয়াং-এর উত্তরসূরি কে সবচেয়ে বেশি সফল হতে পারে সে সম্পর্কে ব্রুকিংস বিশেষজ্ঞ জানান, সম্ভবত প্রথম দুজনের মধ্যে একজন, যদিও এটি এখনও অজানা।

তাইওয়ানের পর চীনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্ভবত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ সমস্যাটি চীনের বুদ্ধিজীবী, সোশ্যাল মিডিয়া ভাষ্যকার এবং উদ্যোক্তাদের বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

এটা বেশ চমকপ্রদ একটা বিষয়, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি বাণিজ্যিক অংশীদার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখন কেউ কেউ মনে করছেন রাশিয়া ও পুতিন চীনের পররাষ্ট্রনীতি দখল করেছে। এটা মনে রাখতে হবে, রাশিয়া এখন একটি ক্ষয়িষ্ণু শক্তি, যেখানে চীন এখন উদীয়মান। তাই কিছু ক্ষেত্রে, এটি অদ্ভুত যে বেইজিং পুতিনের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।

তবে, রাশিয়াকে মিত্র না বলার ব্যাপারে সতর্ক চীন, তারা রাশিয়াকে ‘অংশীদার’ হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে। কারণ ইইউ চীনের জন্য একটি বিশাল বাণিজ্য ব্লক।

চীনের নেতারা কখনোই রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা করেননি; যদিও এ যুদ্ধকে সমর্থন করে বেইজিংয়ের সরাসরি কোনো সুবিধা নেই। লি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চীনের নেতারা রাশিয়াকে ন্যাটো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হতে দেখতে চান না। কারণ যদি এটা ঘটে, তবে পরবর্তীতে টার্গেট হবে চীন।’

বলা যায় ঐক্য, শক্তি, সংকল্প এবং প্রজ্ঞার মুখোশের আড়ালে, প্রেসিডেন্ট শি, সিসিপি এবং চীনের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ এবং হুমকির ভিড় করে রয়েছে। তাই ২০তম জাতীয় কংগ্রেস এটাই প্রদর্শন করবে, আগামী পাঁচ বছরে চীন কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সূত্র-এএনআই

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে