সাত ফুট উচ্চতার জোয়ারে লন্ডভন্ড উপকূল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২; সময়: ৯:১১ পূর্বাহ্ণ |
সাত ফুট উচ্চতার জোয়ারে লন্ডভন্ড উপকূল

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভোলার চরফ্যাশনসহ বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। এ ছাড়া ৭ ফুট উচ্চতার অস্বাভাবিক জোয়ারে ভেসে গেছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার গরু মহিষ ও হাঁস মুরগি। ঘাটে নোঙর করা শতাধিক ট্রলার ভেঙে গেছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন দরিদ্র মানুষ।

এদিকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চরফ্যাশন উপকূলে আঘাত হানে। লন্ডভন্ড হয়ে যায় চরফ্যাশন উপজেলার হাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের চর ফকিরা গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকা।

চরফ্যাশনের খাজুরগাছিয়া মাছঘাট থেকে জাল ও ইঞ্জিনসহ ভেসে গেছে ৩০টি ফিশিং বোট। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘাটে আরও শতাধিক ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলেরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় ৩০টি বসত ঘর। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। চরফ্যাশনের ঢালচর, চর নিজাম, চর পাতিলাসহ বিভিন্ন এলাকার ২০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও সহস্রাধিক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ফুট উচ্চতার পানিতে প্লাবিত মনপুরা উপজেলাতেও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বহু গরু, ছাগল মহিষ ও শত শত ঘেরের মাছ।

ঘরবাড়ি হারা পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন ভোলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. ইউসুফ সিকদার।

তিনি জানান, খাদ্যসহায়তা দরকার। তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। যারা জেলে তাদের নৌকা ও মাছ ধরার জালের জন্যও সহায়তা লাগবে।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই লাহী চৌধুরী বলেন, ৮৪ মেট্রিকটন চাল ও নগদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভোলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশনে গাছচাপায় তিনজন ও লালমোহনে পানিতে ডুবে একজন মারা যান।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে