“হে পুরুষ, জাগো!
হে পুরুষ, ওঠে দাঁড়াও
ঝাড়া দাও থলথলে বপু!
শান্তির নামে পুরুষত্বের হানি
আর নয় মোটে বাপু!
অনেক হয়েছে অনেক,
এবার দাও কড়া বার্তা!
অন্যায় আবদার আর নয় ছাড়
পুরুষই পরিবারের কর্তা!
সংসারে গিন্নী আগুন জ্বাললে
ঘি ঢালো সেই শিখায়!
আগুন আগুন খেলায় মেতে
উল্লাসে নাচো সেই চিতায়!
ছাই ডিঙিয়ে এগোও তুমি,
পিছনে তাকানো বেমানান!
গঙ্গা স্নানে পূণ্য লভো
সুখী হবে বাছা অফুরান!
বউ দেমাগী হলে নানা ছলে
ভূলুন্ঠিত করো আরাম!
ভুল ভেবে কেঁদে মরবে
ঘুম নিশ্চিত হারাম!
বাড়াবাড়িতে হও বিবাগী
পানশী ভিড়াও নব তটে!
বিধির ভুবনে অশেষ রতনে
মনোমিতা যাবে জুটে!
দূরে থাক, নিপাত যাক,
অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর, বেঈমান!
দুর্জনের চেয়ে নির্জনে থাকা
সীমাহীন নন্দিত মহান!
সুই হয়ে কুড়াল বনে
কুলটা জীবনে আনে হাহাকার!
আত্নীয়ের বাঁধন চ্ছিন্ন করে
গড়ে নরকের সংসার!
সহজ সবল পুরুষ মানুষ
শিমূল তুলার মন!
নীজের মনমতো চলো সতত
ডাইনী’র নাই প্রয়োজন!
ভুল বুঝে যদি সে ফিরে
মুছাও চোখের জল।
হাসিমুখে গ্রহন করো
সে জীবনের অমূল্য সম্বল!
আগুন নিভাতে চাইলে সে
ঢালো জল তৎক্ষণ!
তাঁর পাশে থেকো হেসে
কবি জগলুর মতন!
মান চাইলে মানও দিও
সে-ই তো জানেমান !
খোঁপায় ফুল দিও নির্ভুল
ভালোবাসা হবে অফুরান!
সন্ধি চাইলে সন্ধি করো
দাও স্ত্রীর প্রাপ্য সন্মান।
মন খুলে কথা বলো-হাসো
সংসারে দু’জনই সমান!
মুক্ত মনে সন্ধি চাইলে
সহাস্যে হাত বাড়াও!
বনেদি বধু বুকের বিধু
বুকেই ঠাঁই দিও!
কবিতাঃ হে পুরুষ, জাগো!
কাব্যগ্রন্থঃ আপন আভাস
এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ ভবন, উত্তরখান, ঢাকা।
১৭ নভেম্বর ২০২২