পুঠিয়ার গোয়ালপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২; সময়: ৮:২৯ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার গোয়ালপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ার ভালুকগাছী গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে সেই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষার দিনে এই ঘটনা প্রকাশ পায়।

স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক চলে যাওয়ায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও যেটুকু জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ভালুকগাছী গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো আজ শনিবার। পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ১ জন, অফিস সহকারী পদে ১ জন এবং আয়া পদে ১ জন। নিয়োগ পরীক্ষার দিনে নিয়োগ বানিজ্য এবং নিয়োগ দেওয়ার নামে প্রধান শিক্ষক প্রার্থীদের পরিবারের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ আসায় কৌশলে আয়া পদে নিয়োগ না দিয়ে অন্য দুই পদে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করে। তাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক কৌশলে স্কুল থেকে চলে যান।

ভালুকগাছী মন্ডলপাড়া গ্রামের সিরাজ মন্ডলের ছেলে আঃ সোবাহান জানান, আমার মেয়ে সাগরী খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব আমার সাথে ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি করে। আমি গরীব মানুষ, সেই চুক্তি মোতাবেক টাকা দেওয়ার জন্য আমার জমি-জমা বন্ধক রেখে এক যোগে ৫ লক্ষ টাকা জোগার করে প্রধান শিক্ষক আবু তালেবকে দিই। এই টাকা নেওয়ার পর আমার কাছে ১২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। কিন্তু সেই টাকা দেওয়ার মত আমার সমর্থ্য নাই, তাই দিতে পারিনি। সেই জন্য আজ শনিবার নিয়োগ পরীক্ষার দিন আমার মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়নি। যেহেতু আমার মেয়েকে নিয়োগ দেয়নি তাহলে প্রধান শিক্ষক আমার টাকা ফেরত দিক। না হলে আমি পথে বসে যাবো।

তবে এলাকাবাসী জানায়, নিয়োগ বণিজ্যের খবর এখন সকলের মুখে মুখে। তারপর ভূক্তভোগী পরিবার অভিযোগ জানালেও কৌশলী একটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে আরো দুইটি পদে নিয়োগের জন্য কার্যক্রম শেষ করে চলে যান। এটাই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে স্কুলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক কৌশলী স্কুল থেকে পালিয়ে যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা আখতার জাহান জানান, যে প্রার্থীর বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সেই পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্য দুইটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। টাকা-পয়সার বিষয়ে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের নিকট জিজ্ঞাসা করেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে ডিজি প্রতিনিধি রাজশাহীর ল্যাবটারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম জানান, আয়া পদে অভিযোগ পাওয়াগেছে। তাই সেই পদে পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। অন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে