মঙ্গলে ধূলিঝড়ের শব্দ পাঠিয়েছে পারসিভিয়ারেন্স

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২; সময়: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ |
মঙ্গলে ধূলিঝড়ের শব্দ পাঠিয়েছে পারসিভিয়ারেন্স

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মঙ্গলের একটি প্রাচীন হৃদে নিজের কাজ করছিল মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। হঠাৎ সেখানে শুরু হয় ধূলিঝড়। আর তাতেই পৃথিবীর মানুষের সামনে প্রথমবারের মতো খুলে গেল মঙ্গলে বয়ে যাওয়া ধূলিঝড়ের শব্দ শোনার পথ।

পারসিভিয়ারেন্সে থাকা মাইক্রোফোন ওই ধূলিঝড়ের বাতাসের শব্দ রেকর্ড করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।

ধূলিঝড় মঙ্গল গ্রহে খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। মঙ্গলের আবহাওয়ার ধরনের একটি অংশ এই ধূলিঝড়গুলো।

মঙ্গলের অন্যান্য মিশনগুলো ধূলিঝড়ের চিত্র, আবহাওয়ার তথ্য এবং ধূলিকণার পরিমাপ সংগ্রহ করেতে পেরেছে আগেই। ধূলিঝড়ের কারণে তৈরি হওয়া সিসমিক এবং ম্যাগনেটিক সিগন্যাল পর্যন্ত আগে রেকর্ড করেছে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। কিন্তু এই ঝড়ের শব্দ এতদিন পর্যন্ত অধরা ছিল।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারসিভিয়ারেন্স প্রথম মঙ্গলযান হিসেবে মাইক্রোফোনসহ অবতরণ করে মঙ্গল পৃষ্ঠে।

নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোবোটিক এক্সপ্লোরারের সুপারক্যাম মাইক্রোফোনটি ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই ধূলিঝড়টি রেকর্ড করে। ঝড়টি সরাসরি এই মঙ্গলযানের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।

ইউনিভার্সিটি অফ টুলুসের হাইয়ার ইন্সটিটিউট অফ অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেসের গবেষক ডক্টর নাওমি মারডক বলছেন, ১১ সেকেন্ডের ক্লিপটিতে বাতাসের লো ফ্রিকোয়েন্সির শব্দের দুটি অংশ রয়েছে।

মারডক বলছেন, মাঝের নীরব সময়টাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে ছিল মহাকাশযানটি।

১১ সেকেন্ডের ক্লিপে বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দের পাশাপাশি এতে ধূলিকণার বাড়ি খাওয়ার শব্দও শোনা যায়।

মারডক বলছেন, রোভারে আঘাত করা ধূলিকণার সংখ্যা গণনা করতে পেরেছেন গবেষকরা। মঙ্গলগ্রহে এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের একটি পরিমাপ।

রোভার যেসব ছবি ও তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সেগুলো থেকেও এই ধূলিঝড়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রোভারের পাঠানো সমস্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, ধূলিঝড়টির বিস্তৃতি ছিল ৮২ ফুট আর উচ্চতায় ছিল ৩৮৭ ফুট। মারডক বলছেন, এটা মঙ্গলের গড়পড়তার একটা ঝূলিঝড় ছিল।

গবেষকরা ধারণা করছেন, ধূলিঝড়টি যখন পারসিভিয়ারেন্স রোভারকে অতিক্রম করে তখনও এটি পুরোপুরি তৈরি হয়নি।

ধূলিঝড় মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মঙ্গলগ্রহে এর ভালো-খারাপ দুরকম প্রভাবই রয়েছে।

মারডক বলছেন, দিনের যে সময়টাতে ধূলিঝড় তৈরির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, একটি সিঙ্গেল মাইক্রোফোনে ওই সময় পর্যবেক্ষণে ২০০টির মধ্যে একটি ধূলিঝড়ের শব্দ রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ভাগ্যবান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে