আত্মপ্রকাশ ঘটল নতুন ‘১২ দলীয় জোটের’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২; সময়: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ |
আত্মপ্রকাশ ঘটল নতুন ‘১২ দলীয় জোটের’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই বিএনপির সমমনা ১২টি দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে বিএনপির ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত থাকবে ও ২৭ দফা রূপরেখার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

১২ দলীয় এই জোটে রয়েছে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল, কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বে এনডিপি, শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলিডিপি), অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোট, নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, অ্যাডভোকেট আবুল কাসেমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা, একাংশ)।

জোটের একাধিক নেতা জানান, যুগপৎ আন্দোলন বেগবান করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ১২টি রাজনৈতিক দল।

১২ দলের নেতারা ৭ ঘোষণা

১। আমরা বাংলাদেশের ১২ টি রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের চলমান সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথের সকল কর্মসূচি সক্রিয়ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ১২ দল নামেই পরিচিত থাকব।

২। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি লাভকে আমাদের সকলের অভিন্ন লক্ষ্য মনে করি।

৩। আমরা বিশ্বাস করি জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগণের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থের অনুকূলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা করবে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে বিনা ভোট ও রাতের ভোট নামক ভোটারবিহীন কারচুপির নির্বাচন হিসেবে দেশে-বিদেশে সমালোচিত ও নিন্দনীয় হয়েছে এবং নির্বাচনের সকল গ্রহণযোগ্যতা হারায়।

৪। সরকার আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও একইভাবে জনগণের ভোটকে পাশ কাটিয়ে নতুন কোনো কৌশল খাটিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের হ্যাটট্রিক করতে চাইছে। বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক গণজাগরণ, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই শুরু করেছে হামলা মামলা গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা।

৫। এমতাবস্থায় ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ থেকে ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি এবং গত ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় মুক্তির সনদ বিবেচনা করে একাত্মতা ঘোষণা করছি। দেশ ও জনগণের গণতন্ত্র ভোটাধিকার এবং সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বিএনপি ঘোষিত সকল আহ্বান এবং আন্দোলনের যুগপৎ অংশগ্রহণ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করছি।

৬। সরকারকে পদত্যাকে বাধ্য করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ১২টি দল বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় থাকব।

৭। দেশের রাজনৈতিক প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। দেশ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছরের লুটপাট ও দুঃশাসন জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে