বিয়ে যেভাবে বরকতময় হয় 

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২; সময়: ১:৩৭ অপরাহ্ণ |
বিয়ে যেভাবে বরকতময় হয় 

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিয়ে মানসিক প্রশান্তি, স্বাভাবিক ও সুশৃংখল জীবনের অন্যতম মাধ্যম। বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবারের মধ্যে সখ্য ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়। পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী গড়ে ওঠে।

আল্লাহ বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদের, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য তাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে। ’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)

সর্বোত্তম, কল্যাণকর ও বরকতময় বিয়ে হলো, যা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সহজসাধ্যভাবে অল্প খরচে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো আয়োজন, জৌলুসপূর্ণ আলোকসজ্জা, গান-বাদ্য এবং খরচের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিয়ের বরকত নষ্ট করে। ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম বিয়ে হলো যা খরচের দিক থেকে সহজসাধ্য হয়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৯)

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও বিয়েতে অযথা অতিরিক্ত খরচে নিরুৎসাহিত করেছেন। অতিরিক্ত খরচের বিয়ে বরকতহীন। বিয়েতে কীভাবে বরকত ও সমৃদ্ধি আসবে, সে ব্যাপারে হাদিসে সুস্পষ্ট বক্তব্য এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ওই বিয়ে সবচেয়ে বেশি বরকত হয়, যে বিয়েতে ব্যয় বা খরচ কম হয়।’ (বায়হাকি)

বিয়েতে মেয়েদের মোহরানা দেওয়া আবশ্যক। মোহরানা সর্বনিম্ন ১০ দিরহাম দিতে হয় এর সর্বোচ্চ কোনও পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। মোহরে ফাতেমি দেওয়া সুন্নত ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘কনের বরকতের আলামত হচ্ছে- বিয়ের প্রস্তাবনা সহজ হওয়া, মোহরানা সহজসাধ্য হওয়া এবং গর্ভ ধারণ সহজ হওয়া।’ (সহিহুল জামে,২২৩৫)

আরেক হাদিস হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, ‘সাবধান, তোমরা নারীদের মোহরানা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। যদি মোহরানা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা দুনিয়াতে সম্মানের বিষয় হত কিংবা আল্লাহর কাছে তাকওয়া হত তাহলে তোমাদের নবী তা করতেন। -(সুনানে তিরমিজি, ১১৪)

বিয়ের পর ছেলের পক্ষ থেকে ওয়ালিমার আয়োজন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বিয়ের পর ছেলের পক্ষে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গরিব-মিসকিনদের তৌফিক অনুযায়ী আপ্যায়ন করাকে ‘ওয়ালিমা’ বলে। এটি বিয়ের আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার শামিল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ওয়ালিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওয়ালিমা করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর-৫১৭০)। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছাফিয়াহ (রা.)-কে বিয়ের পর তিন দিন যাবৎ ওয়ালিমা খাইয়েছিলেন। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস নম্বর-৩৮৩৪)।

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) যখন বিয়ে করেছেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন: “একটি ছাগল দিয়ে হলেও তুমি ওয়ালিমার আয়োজন কর। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে