প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২; সময়: ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ |
প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় এনামুল হক এনা (৫২) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখম হয় এবং তার বাম হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন হয়ে যায়। ওই ঘটনায় হিমু (৪০) নামের আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের পূর্ব পাড়া তমজিদ শেখের বাড়ির সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত এনা ওই গ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পর পর চারবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার)। এদিকে প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষ খায়রুজ্জামান শেখের বাড়িসহ ৩ বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে এনা মেম্বারের অনুসারীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি অফিসের নায়েব ও রঘুনাথপুর গ্রামের খায়রুজ্জামান শেখ গ্রাম্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে বরাবরের মত নিজের অর্থায়নে ইউপি নির্বাচনে আজিজুর রহমান সাফুকে এনা মেম্বারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নির্বাচন করান। সাফু নির্বাচনে পরাজিত হন। তখন থেকে এনা মেম্বার ও খায়রুজ্জামানের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এর জের ধরে এনা মেম্বার রঘুনাথপুর কবরস্থান মসজিদে যোহরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের নির্মম হামলার শিকার হন।

এনা মেম্বার বলেন, জোহরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে খায়রুজ্জামান, তার দুই ছেলে তোহা শেখ ও জোহা শেখ, এনামুল শেখ, জোবায়ের শেখসহ প্রতিপক্ষের আট থেকে দশজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ দিয়ে অতর্কিত হামলা করে।

এনা মেম্বারের স্ত্রী পিয়ারী বেগম বলেন, চিৎকারে আমরা বাড়ি থেকে দৌড়ে বের হলে তারা পালায় যান। তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার বলে অবস্থা খারাপ আপনারা খুলনা বা যশোর নিয়ে যান।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, এনামুল হকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বাম হাতের ২ টি আঙুল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও একটি ঝুলে ছিল। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পেলে হাতের আঙুল তিনটি জোড়া লাগানো যাবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।

খায়রুজ্জামান শেখের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, এনা মেম্বার গ্রুপের লোকেরা জোর করে আমাদের ঘরে ঢুকে আসবাপত্র ভাঙচুর করে। ৩টি আলমারি, একটি মোটর সাইকেল, টিভি ভাঙচুরসহ দশ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এ সময় আমাদের পক্ষের সুবেদার (অবঃ) তমিজিদ ও ইকরামুল শেখের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে এনা মেম্বারের লোকজন।

কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম বলেন, এরপর থেকেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে