রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও কাঁচা মরিচের দাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২; সময়: ১:১৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও কাঁচা মরিচের দাম

মিনার আলম আকাশ : নতুন বছরকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস, খাশির মাংস ও কাঁচা মরিচের দাম।

বছর শেষের একদিন পূর্বে শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে লক্ষ্য করা যায়, গরুর মাংস কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৬৫০ টাকা কেজি।

গরুর মাংস কিনতে আসা মামুন হোসেন জানান, হঠাৎ কোন কারণ নাই গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি করার। নতুন বছরে অনেকে পিকনিক করে থাকে। সে কারণে গরুর মাংসের ক্রেতা বেশি। আর এটার সুযোগ নিয়েছে বিক্রেতারা।

তিনি আরও বলেন, এতোদিন দাম বাড়লোনা, কিন্তু যেমনি সুযোগ পেয়েছে দাম বাড়িয়ে বিভিন্ন কারণ দেখাচ্ছে। আমাদের সাধারণ জনগণের কিছু করার নাই, খেতে হবে। যেখানে দুই কেজি কিনতাম, সেখানে এক কেজি কিনতে হচ্ছে।

গরুর মাংস বিক্রেতা শিমুল জানান, হাটে গরুর দাম বেশি। তাছাড়া গরুর আমদানি কম। দালালকে বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।

এদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে বাজারে কেজিতে ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে খাশির মাংস। ৯৫০ টাকার খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা ।

খাশির মাংস কিনতে আসা পূরবী রায় জানান, আমাদের বাজারে দাম বাড়ার বিষয়গুলো মুখস্ত হয়ে গেছে। কাল নতুন বছরের সবাই পিকনিক করবে সে কারণ দেখিয়ে কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। সত্যি বলতে আমরা ক্রেতারা যারা আছি তারা এদের কাছে অসহায় হয়ে গেছি এদেরকে মনিটরিং করার মতো কেউ নাই সে কারনেই যা ইচ্ছা তাই করে।

খাশির মাংস বিক্রেতা আসাদ জানান, হাটে খাশি নাই বললেই চলে। দালালদের বেশি টাকা দিয়ে খাশি নিতে হচ্ছে। চারিদিকে বিয়ের আয়োজন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকার কারণে সব খাশি বাইরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এবং যেগুলো থাকছে তা আমাদেরকে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে সে কারণেই আজ খাশির মাংসের দাম বেশি তাছাড়া কোন কারণ নেই।

এ সপ্তাহে সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা।

সবজি কিনতে আসা হাসি বেগম জানান, সকল প্রকার সবজির দাম ঠিক আছে কিন্তু মরিচের দাম এরকম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মেনে নিতে পারছিনা। কেজিতে ৫-১০ বৃদ্ধি পেলে সেটা মেনে নেয়া যায় কিন্তু কেজিতে ৩০ টাকা বেশি এটাতো মনে হচ্ছে জোর যার মূল্লুক তার এমন একটি অবস্থা।

সবজি বিক্রেতা আয়নাল জানান, সকল প্রকার সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে অনেক সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেও গেছে কিন্তু হঠাৎ এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের আমদানি খুব কম সে কারণে আমাদের অনেক বেশি দামে পাইকারি কিনতে হয়েছে সে কারনেই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম বাড়ার অন্য কোন কারণ নেই।

এছাড়া এ সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মুরগির দাম। লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে পূর্বের মূল্যে ৩৬ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা হালিতে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি পূর্বের মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, সোনালি ২৪০ এবং দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজিতে।

সপ্তাহের শেষ দিনে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে কার্প জাতীয় সেকল মাছ রয়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নদীর মাছের দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে।

এছাড়া গত সপ্তাহের মতো রাজশাহীর বাজারে মুদিপন্য সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে