কবি মাহবুব দুলাল এর একুশের কবিতা

প্রকাশিত: ২০-০২-২০২৩, সময়: ১৭:০৫ |

শ্রদ্ধার শহীদ মিনার

ভাবি আর অবাক হই-কত নির্লজ্জ, সন্ত্রাসী
হলেই শুধু এমন কুৎসিত দাবি চাপিয়ে দেয়।

ভাবি আর অবাক হই-বড় লুণ্ঠনকারি, পাপি
পিশাচ বলেই প্রিয় সম্পদ ওরা নিতে চায়।

ভাবি আর বিস্মিত হই-কতটা গোঁয়ার,
অত্যাচারি আর অজ্ঞ হলেই চিনতে পারে
না, মায়ের মুখের ভাষা।

তবে আমি বুঝি, বুঝেছিল আমার পূর্বসূরিগণ-
ইতিহাস তাদের শিক্ষা দিতে পারেনি,
অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি তারা।

অজ্ঞ জাতি শিক্ষা নিলে বুঝতো তারা-
ক্ষুদিরাম প্রীতিলতা সূর্য্য মরেনি যারা।

আমাদের ভাষা না কি উর্দু হবে!

কী অন্যায় আবদার, কোটি কোটি বাঙালি
নাকি মাতৃভাষা বাঙলা ছেড়ে করবে
উর্দুর জয়গান!

কিন্তু তাদের রক্ত চক্ষু ভয় দেখাতে পারেনি,
মহা বিষাদের ইতি টানলো দামাল ছেলেরা।

ভাষার সারথি সাজলো উল্টো পথে, তাদের
ঘৃণিত ইচ্ছায় ঘা দিতে রুখে দাঁড়ালো বাঙালি।

একদিকে ভাষা রক্ষায় নিরস্ত্র
বাঙালি, অন্যদিকে সাঁজোয়ায়
অবাঙালি।
গুলিতে মরে ভাষার জন্য মুক্তিকামী
নাম না জানা কত ছাত্র-জনতা।
বুক পেতে দিয়েছে, দিয়েছে
তাজা রক্ত, দমাতে পারেনি;
অতঃপর পিছু হটে পাকিস্তানি।

যারা বাঙলা ভাষায় কাটিয়েছে শৈশব,
তোমরা মরোনি, ক্ষয়েছে শরীরি অবয়ব।

অত্যাচারি, দুষ্কৃতিকারি, সন্ত্রাসীরা
যুগ যুগ শুধু পায় ঘৃণা-
যারা রক্ত দিল তারা স্মরণীয়- তাদের
জন্য বাজে শ্রদ্ধার বীণা।
যেদেশে একুশের প্রহরে ফুলে ফুলে
ভরে ওঠে শহীদ মিনার-
জন্মেছি সেদেশে, কথা বলি বাংলায়
চাই এদেশেই মরবার।

উপরে