গর্ব আমার
গর্ব আমার জন্মেছি এই দেশে-
মায়ের ভাষায় মনের কথা
বলতে পারি হেঁসে, উচ্ছ্বসিত আমি তাই-
অশেষ ঋণে নতশিরে শ্রদ্ধা জানাই
বীর শহীদদের ভাই।
ফেব্রুয়ারী এলে শিরা ও ধমনীর
জালিকায় কী এক অব্যক্ত স্ফূলিঙ্গ
বয়ে চলে শুধু-মনে হয়ে যায়
আমার পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যের গাঁথা-
ত্যাগ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কথা;
এই প্রাপ্তি আমার জন্মগত অধিকার
আত্মার কুদুম।
সুপ্ত বিবেক ঋণে খুঁজে পায়
রফিক, বরকত, সালামের মতো
ভাষা শহীদদের আত্মদান।
নার্গিস আইলা সুনামীর ধ্বংসযজ্ঞে
কত সম্পদ কত সম্পর্ক-শূন্য হয়েছে বুক
মহামারি কোভিডে অহর্নিশ কেড়ে নিচ্ছেই
হাজারো প্রাণ-
সবই হয়তো ভুলে যাবে একদিন;
কিন্তু বাঙ্গালী ভুলবে না কোনদিন,
ভুলবে না বিশ্ব; তোমরা হবে না
কখনো ম্লান।
কোটি গ্রহ, তারা নক্ষত্র নীহারিকা,
ছায়াপথের হিমাদ্রি থেকে সমুদ্রের জলরাশি
ফুরাবে না যতদিন-
মানুষ কথা বলবে যতদিন,
সৃষ্টিতে মানুষ যতদিন;
শুধু বাংলাতে নয়-
সারা দুনিয়া স্মরণ করবে তোমাদের ততদিন।
আমি বাঙ্গালী, মায়ের ভাষা তাই আমার ভাষা-
আর তোমরা গৌরবের দিশা;
মহাপ্রলয়ের মধ্যেও প্রত্যাশা
আজন্ম অন্তহীন ভালবাসা।
হেঁটে যায়, দেখি বারবার, থেমে যায়-
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধায়
নতশিরে গায়;
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’।