রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩; সময়: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রেও দেখাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগতদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সন্ধ্যার পর থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত গেট থাকায় এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা গেটের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের শিক্ষার্থীরা অবরোধ করলেও পরে আর বিষয়টিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বহিরাগতরা এসে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ফলে আন্দোলন বড় আকার ধারণ করে। এসব বিষয় খুঁটিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। তারা সব বিষয়ে খুঁটিয়ে দেখে আমাদের প্রতিবেদন দেবে। আমরা এরইমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

রাবি উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী যারা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে তাদের নিরাপত্তার জন্য মেস মালিক সভাপতি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করবো। তারা যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করে।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা রয়েছে। তারা যে কোনো জায়গায় ভিডিও ধারণ করতে পারেন।

গত শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনার জেরে রোববার দিনভর বিক্ষোভ উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। এর অংশ হিসেবে রোববার রাতে রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

এ সব ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা করা হয়। মতিহার থানায় দায়ের করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলায় আসামী করা হয় ৫০০ জনকে। আর পুলিশের মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে