যুবলীগ কর্মী হত্যায় মেয়রসহ ১৯ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে যুবলীগ কর্মি হেলাল সরদার (৩৩)কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গুরুদাসপুর পৌর মেয়রসহ ১৯জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নিহত হেলালের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১নং আসামী করা হয়েছে গুরুদাসপুর পৌর মেয়র মোঃ শাহনেওয়াজ আলী মোল্লাকে।
এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া মহল্লার মোতালেব হোসেনের ছেলে তুহিন (২২), একই মহল্লার আব্দুর রশিদের ছেলে আকাশ হোসেন (২৩) এবং চাঁচকৈড় বাজার পাড়া জিল্লুর জমাদারের ছেলে তোহা (২০)।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরশহরের চাঁচকৈড় হাটের শ্রমিক অফিসের সামনে যুবলীগ কর্মি হেলাল সরদার ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা ও শ্রমিক সদস্য শিশির সরদার চাঁচকৈড় ট্রাক ট্রাংলরি শ্রমিক অফিসে ট্রাকের চালান কাটতে যায়। এসময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে শিশিরকে কুপিয়ে জখম করে। ছোট ভাই শিশিরকে বাঁচাতে হেলাল এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের দুইভাইকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিগ্ধা আকতার হেলাল সরদারকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহত হেলাল ও আহত শিশির পৌরসভার খামারনাচকৈড় মহল্লার মৃত সাখাওয়াত হোসেন সরদারের ছেলে। নিহত হেলাল সরদারের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সমাবেশ করেন জনতা ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে। বুধবার বিকেল ৫টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে নিহত হেলাল সরদারকে দাফন করা হয়।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, আগামীতে আমি এমপি নির্বাচন করবো। যার জন্য আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসাতে আমার প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করিয়েছেন। আমি এই ঘটনার কিছুই জানিনা।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, ১৯ জনের নামে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। তিনজন আসামী মোঃ তোহা জামাদার (১৯), তুহিন (১৮) এবং আকাশ (২০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।