স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩; সময়: ৩:১৯ অপরাহ্ণ |
স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ এই আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, গত ১১ তারিখ যে কালো একটি দিন যেদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ জীবনে আমি কখনো দেখি নি যেখানে এতগুলো শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে।

এত বড় একটি ঘটনা কেন ঘটল, ঘটনার সাথে কারা সম্পৃৃক্ত, কাদের গাভিলতি ছিল এবং পুলিশ কেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালাল। ওই ঘটনায় এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ। যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। আমরা দেখেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।

তাদের সমস্ত শরীরে গুলির চিহ্ন লেগে আছে। প্রশাসন কেন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারে নি। কেন বিষয়টি এত ঘোলাটে আকার ধারণ করল। এভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হোক আগামী দিনগুলোতে আমরা সেই প্রত্যাশা করি না।

শিক্ষক হিসেবে আমি চাই শিক্ষাঙ্গনে নিড়াপদ এবং লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকুক। এবং শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হোক।

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, এই ক্যাম্পাসে যা ঘঠছে তা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিচলিত করছে। যখন কোন ঘটনা ঘটে সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সে উত্তেজনায় আমরা অনেক ধরনের উগ্র কর্মকাণ্ড চালাই।

তারপর ঠান্ডা পানির মতো আমরাও শীতল হয়ে যাই এবং অদূর ভবিষ্যতে আবার একটি ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। পুনরায় সেই ঘটনা ঘটলে আমরা আবার তীব্র উত্তেজনা প্রদর্শন করবো এবং খুব শীঘ্র সে উত্তেজনাও প্রশমিত হবে।

কিন্তু তার ভেতরে বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হবে, বহু রকমের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটবে এবং আমরা আবার আরেকটা ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবো। এটাই স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে এবং আমরা ভাবি পরবর্তীতে যখন ঘটবে তখন ব্যবস্থা নেব।

তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের মধ্যে শিক্ষা থাকলে এই মানসিকতা তৈরি হওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। যারাই আহত হয়েছে সেটা শিক্ষার্থী হোক বা বহিরাগত হোক সবার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দেওয়া ছয় দফা দাবিও উপস্থাপন করে সেগুলো মেনে সে অনুযায়ী কাজ করার জোর দাবি জানান।

মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এবং আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান আমান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে