বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এক্সরে মেশিন স্থাপন না করার অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩; সময়: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ |
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এক্সরে মেশিন স্থাপন না করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে । নতুন এক্সরে মেশিন স্থাপনের দাবি জানালেও কার্যকর হয়নি। এর ফলে, রোগীদের বেশি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্সরে করাতে হচ্ছে ।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ এম এমের বিকল এক্সরে মেশিনটি মেরামত করেও চলবেনা বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ( নিমিউ এন্ড টিসি)। ২০২০ সালের অক্টোবরে এ ঘোষনার পরে নতুন কোন এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে কম খরচে সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীরা।

উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষের সরকারি চিকিৎসা সেবার একমাত্র ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৩১ থেকে ৫০শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জন, ইনডোরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গড়ে ৪০-৫০ জন এবং জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তাদের অনেকের এক্সরে করানোর প্রয়োজন পড়ে। সরকারি সুবিধায় এক্সরে করতে না পেরে বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি টাকায় এক্সরে সেবা নিতে হচ্ছে। এতে অর্থ ও সময় বেশি লাগছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়, প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর বিভিন্ন ধরনের এক্সরে করতে খরচ হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা (সাদা-কালো)। প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে লাগছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা (সাদা-কাালো)। আর ডিজিটাল এক্সরে (রঙিন) করাতে লাগে ৪০০ থেকে ১০০০( এক ) হাজার টাকা। তবে আট্রাসনোগ্রাম,ইসিজিসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

পায়ে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা জহুরুল ইসলাম (৩০) ও পারভীন বেগম (৪৫) জানান, চিকিৎসক তাদের পায়ের এক্সরে করানোর পরামর্শ দেন। বে-সরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। সরকারি সুবিধা পেলে লাগতো ৮০ টাকা। সরকারিভাবে এক্সরে করাতে না পেরে তাদের মতো অনেককেই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ এক্সরে সেবা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন এক্সরে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নতুন এক্সরে মেশিন দেওয়ার ব্যাপারে আস্বস্থ করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। চিকিৎসা-ঔষধসহ ইসিজি, আল্ট্রোসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় ঘাটতি নাই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে