কলেজ কর্মচারীর কুকর্মের বিচার চাইতে গিয়ে হত্যাশ হয়ে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩; সময়: ৯:১৩ অপরাহ্ণ |
কলেজ কর্মচারীর কুকর্মের বিচার চাইতে গিয়ে হত্যাশ হয়ে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস চত্বরে প্রবেশ করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। কিন্তু ইউএনও অফিসে উপস্থিত থেকেও তাদের সমস্যার কথা শোনেন নি। এমনকি তারা দীর্ঘ সময় ইউএনও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের সাথে কথা পর্যন্ত বলতে রাজি হয়ননি ইউএনও শ্রাবণী রায়। পরে হত্যাশ হয়ে ফিরে যান ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এব্যাপারে মিথিলা, মরিয়ম, মৌ ও সুসমিতাসহ ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় তাদের কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। শিক্ষার্থীরা তার কাছে গিয়েছিল কলেজের শাহাদৎ হোসেন নামের একজন চরিত্রহীন চতুর্থ শেণির কর্মচারী (পিয়ন) বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বিচার চাইতে। আমরা বার বার তাঁর সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি অফিসে থেকেও দেখা করেননি এমকি আমাদের অভিযোগের কপিটিও গ্রহণ করেননি। আমরা রোজা রেখে দীর্ঘ সময় অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের অভিযোগ না নিক একটু কথা বলে তো শান্তনা দিতে পারতো। অথচ উনিই (ইউএনও) আমাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন আমি বিপদে আপদে সব সময় তোমাদের পাশে আছি আমার ফোন নম্বর রেখে দাও।

কলেজ সুত্রে জানাযায়, ওই কলেজের শাহাদৎ হোসেন(৩২) নামের একজন পিয়ন দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর সাথে কলেজে দায়িত্ব পালন কালে নিজের বিবাহিত স্ত্রী থাকা সত্বেও প্রেমের নামে পরকিয়ায় জড়ায়। শুধু ওই ছাত্রীই নয় একাধিক ছাত্রীর সাথেও তিনি অশ্লীল আচরণ করে। যার কারনে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পিয়নের স্ত্রী সীমা খাতুন ও কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগের কারনে তার বিরুদ্ধে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে পিয়ন সাহাদতের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পান।

ওই কলেজের অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন জানান, কলেজ গভার্ণিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নিবাহী অফিসার শ্রাবণী রায়ের কাছে যাবতীয় নথি দাখিল করে তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে পিয়ন সাহাদতের বেতন ভাতাদি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জানান,শাহাদত তার স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পেয়ে জোড় করে কলেজে প্রবেশ করলে কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই পিয়নকে তাড়িয়ে দিয়ে তার বাইকে তালা মেরে দেয়। আমি ছাত্রীদের সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে শান্ত করি। সেই মোতাবেক পিয়ন সাহাদতের বেতন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় মুঠোফোনে বলেন, আমার কাছে বলা হয়েছে স্মারক লিপি একারনে আমি নেই নি। অভিযোগ হলে নিতাম। তার পরেও অধ্যক্ষ সাহেবের সাথে বসে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে