ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখাল ছাত্র অধিকার পরিষদ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩; সময়: ১২:১১ অপরাহ্ণ |
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখাল ছাত্র অধিকার পরিষদ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

রোববার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণে ব্যবহৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র নির্যাতন বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীরা এ লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। ওই সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান তারা।

সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ ভাত-মাছের স্বাধীনতা চাই। ক্ষমতাসীনরা চায় চুরির স্বাধীনতা। আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকারের কাজের প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২০১৮ সালের পর থেকে ২৮০০ মানুষকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই আইন দিয়ে চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো ব্যক্তিকে আটক করতে পারে। এ ধরনের মিথ্যা একটি আইন দিয়ে আধুনিক যুগে একটি অস্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বেশিরভাগ মামলা হয় বিরোধী দলকে দমন ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের জামিনের কোনো সাড়া নাই।’

ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, পাকিস্তানিরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের নৃশংস নির্যাতন করত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে একইভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। নির্যাতনের এ টর্চার সেল বন্ধ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রথম আলোর বিপক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও একই কাজ করছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে লজ্জিত। পাকিস্তানিদের হামলার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি আবু সায়িদ চৌধুরী পদত্যাগ করেছিলেন। শিক্ষকরা জাতির মুকুট। আপনারা বিক্রি হয়ে যাবেন না।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নামক কালো আইনকে আমরা লাল কার্ড দেখাচ্ছি। শিগগিরই এই আইন বাতিল করতে হবে। এই আইনে আটককৃতদের মুক্তি দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন— সংগঠনটির সহসভাপতি আখতার হোসেন, তারেক রহমানসহ অনেকে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে