চিটাগুড় ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকি, এনবিআরকে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩; সময়: ১:৪১ অপরাহ্ণ |
চিটাগুড় ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকি, এনবিআরকে দুদকের চিঠি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মানুষের খাবারের গুড় পশুখাদ্য চিটাগুড় হিসেবে দেখিয়ে আমদানি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এমন প্রক্রিয়ায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্প্রতি দুদকের অভিযোগ যাচাই-বাছাই শাখা থেকে দেওয়া চিঠিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মেসার্স এস বি ট্রেডার্স ও মেসার্স ন্যাশনাল কনসালটেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামক পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পারস্পরিক যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য ও ঘোষণা দিয়ে মানুষের খাবার গুড়কে পশুখাদ্য হিসেবে আমদানি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

এ অবস্থায় দুদকের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা গেল।

যদিও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মানুষের খাবার গুড় পশুখাদ্য হিসেবে আমদানি করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সোনামসজিদ কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ।

তিনি বলেন, অভিযোগকারী ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত তৈরির চেষ্টা করেছেন। চিটাগুড় ও মানুষের খাবারযোগ্য গুড় যথাযথ ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। আমার জানা মতে মিথ্যা ঘোষণায় এ ধরনের পণ্য আমদানি হয়নি।

একটি চক্র অবৈধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ, তারা অভিযোগে যে এইচএস কোডের কথা উল্লেখ করেছে তা আসলে পেঁয়াজ ও রসুনের এইচএস কোড। হয়রানি করতেই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলছি বছরের ১৮ জানুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৬১০ কার্টন গুড় আমদানি করে মেসার্স এস বি ট্রেডার্স। যার শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টন ৩১০ ডলার।

গত ২১ জানুয়ারি আর একটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে দুই হাজার ৭৬০ কার্টন গুড় আমদানি করে মেসার্স ন্যাশনাল কনসালটেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন।

যার শুল্কায়ন মূল্য টনপ্রতি ধরা হয় ২০০ ডলার। যে কোডে শুল্কায়ন করে গুড় আমদানি করা হয় তা পশুখাদ্য চিটাগুড়ের কোড।

আমদানিকারকরা মানুষের খাবারযোগ্য গুড় পশুখাদ্য হিসেবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কাটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের গুড় শিল্প ধ্বংস করেই চলেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দেশের স্বার্থে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব আদায়ের অনুরোধ করা হয়েছে অভিযোগে।

প্রসঙ্গত, চিটাগুড় আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক দিতে হয় ২০০ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, মানুষের খাবারযোগ্য গুড় টনপ্রতি শুল্কের পরিমাণ ৪৫০ ডলার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে