লেনদেন ও সূচকের টানা বৃদ্ধিতে ছেদ

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩; সময়: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
লেনদেন ও সূচকের টানা বৃদ্ধিতে ছেদ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টানা ৯ কার্যদিবস লেনদেন বৃদ্ধির পর গতকাল রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কেনাবেচা হওয়া শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা, যা গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় ২৭৫ কোটি টাকা কম। একই সঙ্গে টানা ৯ দিন বৃদ্ধির পর প্রধান মূল্য সূচক ১১ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২৬২ পয়েন্টে নেমেছে।

ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯২ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪২টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৯৮টির এবং ২০০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ক্রেতার অভাবে ৫০ শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

কিছু দিনের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে কিছু কোম্পানির শেয়ারদর উঠে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ২৫০টিতে নামে।

তবে গতকালের দরপতনে ছয় শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। এতে সংখ্যাটি বেড়ে ২৫৬টিতে উন্নীত হয়েছে।

লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সিমেন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ ছাড়া বাকি সব খাতের লেনদেন কমায় গতকাল সার্বিকভাবে লেনদেন কমেছে।

যেমন- আগের দিন ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ১১২ কোটি টাকার ব্লক মার্কেটের লেনদেন নিয়ে ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছিল ১২৭ কোটি টাকা। গতকাল এ খাতের লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি টাকার।

এছাড়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের লেনদেন ৫২ কোটি টাকা কমে নেমেছে ১০৫ কোটি টাকায়। বিবিধ খাতের লেনদেন সোয়া ২৯ কোটি টাকা কমে ৩০ কোটি টাকায় এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন সাড়ে ২৮ কোটি টাকা কমে সাড়ে ৫৫ কোটি টাকায় নেমেছে। এভাবে প্রায় প্রতিটি খাতের শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

সার্বিক লেনদেন কমার বিপরীতে সিমেন্ট খাতের লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি টাকারও বেশি।

গত বৃহস্পতিবার যেখানে এ খাতের তালিকাভুক্ত সাত কোম্পানির ১২ কোটি টাকারও কম মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, গতকাল তা বেড়ে ৪৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

অবশ্য এর মধ্যে লাফার্জ-হোলসিম এবং হেইডেলবার্গ সিমেন্টেরই সোয়া ৩৮ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্টের শেয়ার লেনদেন গতকালও ফ্লোর প্রাইস ৬৪ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা শুরু হয়।

লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে শেয়ারটির দর ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল। কিন্তু এ ধারা স্থায়ী হয়নি।

শেষ পর্যন্ত আবারও ফ্লোর প্রাইসে ফিরে আসে। এর মধ্যে ৩১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি শেয়ার ২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়।

এদিকে টানা সাত মাস ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা হেইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ারদর বৃদ্ধির ধারা গতকালও অব্যাহত ছিল। বহুজাতিক এ কোম্পানিটির শেয়ার মাত্র পাঁচ দিনে ১২৫ টাকা দর বেড়ে সর্বশেষ কেনাবেচা হয় ৩০৩ টাকা ৪০ পয়সায়।

যদিও ২০২১ সালের বড় লোকসানের পর ২০২২ সালেও শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান করেছে হেইডেলবার্গ। তা সত্ত্বেও গত বছরের মতো পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৬ টাকা ৮৫ পয়সা মুনাফার তথ্য দিয়েছে। এ খবরে গতকাল শেয়ারটির দর ২২ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা করে নেয়। যদিও লেনদেনের এক পর্যায়ে ৩৫ শতাংশ দর বেড়ে ৩৩৫ টাকায় উঠেছিল।

গতকাল ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল। এক মাসেরও কম সময়ে শেয়ারটির দর দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল সর্বশেষ কেনাবেচা হয়েছে ৫৯ টাকা ৬০ পয়সায়।

দরবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এ দুই কোম্পানির বাইরে ৫ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ দর বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল জুট স্পিনার্স, সিনোবাংলা, ইস্টার্ন হাউজিং, হাক্কানি পাল্প এবং ক্রাউন সিমেন্ট।

বিপরীতে পৌনে ৯ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল এপেপ ফুড। মাত্র পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ২৭৩ টাকা থেকে ৩৯৩ টাকা পার করার পর গতকাল দর হারিয়ে ৩৫৯ টাকায় নেমেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে