র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিরা উৎসাহিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩; সময়: ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ |
র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিরা উৎসাহিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার পরামর্শেই কিন্তু এ র‌্যাবের সৃষ্টি এবং তাদের ট্রেনিং, তাদের সবকিছুই কিন্তু আমেরিকার করা।

তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার এলো এবং একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রাখলাম, তখন হঠাৎ করে র‌্যাবের ওপর এই স্যাংশনটা তারা কেন যে জারি করল, সেটা ঠিক আমার কাছে বোধগম্য না।

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সোমবার সম্প্রচারিত হয়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর র‌্যাবের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে তাদের ভূমিকাগুলো খুবই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসার পরে র‌্যাবের কোনো অফিসার যদি কোনোরকম কোনো অপরাধ করে, তাদের কিন্তু বিচার হয়- এটা কিন্তু অন্য দেশে নেই। এমনকি আমি বলব, আমেরিকায়ও নেই।

তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের দেশে তো এই আইনের শাসনটা বলবৎ আছে এবং যারা যখনই কোনো রকম অপরাধমূলক কাজ করেছে, আমরাই কিন্তু তাদের শাস্তি দিয়েছি।

র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ দিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর জামাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লে­খ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়েছে, জেলে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সে শাস্তি পেয়েছে। সন্ত্রাস এবং জঙ্গি দমনে র‌্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এভাবে হঠাৎ স্যাংশন দেওয়ার ফলে যেটা হলো, এতে জঙ্গিরা একটু বোধহয় উৎসাহিত হয়ে পড়ল- এটা হলো বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন বলবৎ রয়েছে। আমরা সবকিছু আইনের দৃষ্টিতে দেখি। আবার বিনা অপরাধে কেউ যাতে শাস্তি না পায় সেটাও আমরা দেখি।

ডিজিটাল আইনের ‘অপপ্রয়োগ হয় না’: বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এমন আইন আছে, যা বাংলাদেশেও করা হয়েছে। নাগরিকদের ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিচরণ সুরক্ষিত করতে এই আইন করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের হয়রানি করা এই আইনের লক্ষ্য নয় উল্লে­খ করে তিনি বলেন, এখানে যদি কেউ অসামাজিক কার্যক্রম, উসকানিমূলক কার্যক্রম, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি এখন আমার একটি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ফাইল চুরির চেষ্টা করে, তাকে কি পুরস্কৃত করতে হবে? কোনো সভ্য দেশে এটা করলে কী ব্যবস্থা হয় তার বিরুদ্ধে? দেখলাম তাকে হিরো বানানো হলো, তাকে আবার পুরস্কার দেওয়া হলো!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হয় না বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। এ আইন সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আইনটা কিন্তু অন্যান্য দেশের থেকে অনেক সহজ। তারপরও আমরা বলছি, অন্যান্য সভ্য দেশে আইনটা কীভাবে প্রয়োগ হচ্ছে, তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখছি, আমেরিকায় ডিজিটাল আইনে কী আছে, ইংল্যান্ডে কী আছে, ইউরোপের দেশগুলোতে কী আছে। সেখানে যদি আমরা দেখি, আমাদের আইনের চেয়ে কঠিন কোনো শাস্তির ব্যবস্থা আছে, তাহলে আমরা সংস্কার করে দেব।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে