‘এই অর্জন তারায় তারায় লেখা থাকবে’

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩; সময়: ২:৪৭ অপরাহ্ণ |
খবর > খেলা
‘এই অর্জন তারায় তারায় লেখা থাকবে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : তারায় তারায় লেখা থাকবে ম্যানসিটির এই বিজয় গাথা। সেই তারকা রাজ্যে সবচেয়ে জ্বলজ্বল করবে পেপ গার্দিওলার নাম। শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে অনেক প্রাপ্তির সঙ্গে একটি বিতর্কও উস্কে দিয়েছেন স্প্যানিশ এ কোচ। তিনিই কি সর্বকালের সেরা কোচ?

সৃজনশীল, আক্রমণাত্মক কৌশল তথা আনন্দদায়ী ফুটবলের চেয়েও কোচদের বেলায় সফলতাকেই বড় করে দেখা হয়। বড়ই নিষ্ঠুর এই চাকরি। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও শিরোপা জিততে না পারলে কোনো মূল্য নেই। আবার বিরক্তিকর ফুটবল খেলেও শিরোপা জিততে পারলে তিনি সফল। সেদিক থেকে গার্দিওলা আক্রমণাত্মক ফুটবলের ধারক এবং শিরোপা জয়েও সবাইকে ছাড়িয়ে তিনি। তাই তো সর্বকালের সেরার আলোচনাটা চলে এসেছে।

প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ ছয় মৌসুমে পাঁচবার সিটিকে শিরোপা জিতিয়েছেন গার্দিওলা। আর শনিবার রাতে ইস্তাম্বুলে তিনি সিটিকে এনে দিয়েছেন বহু প্রতীক্ষিত ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার মধ্য দিয়ে ট্রেবলও এনে দিয়েছেন তিনি সিটিকে। ইংলিশ ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল এই কাণ্ড।

১৯৯৯ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ট্রেবল জিতিয়েছিলেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেন ৫২ বছর বয়সী এ কোচ। তাঁর চেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন (৪ বার) কেবল কার্লো আনচেলত্তি। ট্রেবলও গার্দিওলার জন্য নতুন নয়। ২০০৯ সালে বার্সেলোনাকেও ট্রেবল জিতিয়েছিলেন তিনি। ইতিহাসে দু’বার ট্রেবলজয়ী একমাত্র কোচ গার্দিওলা। সাবেক ইংলিশ ফুটবলার রিও ফার্দিনান্দের মতে, এই অর্জনে অমরত্ব পেয়েছে গার্দিওলা ও সিটি।

শনিবার রাতে আরও একটি বিষয়ে নিন্দুকদের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন গার্দিওলা। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা ছাড়াও যে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেন, সেটা প্রমাণ করে দিলেন। কোচ হিসেবে গার্দিওলা মোট ৩৫টি শিরোপা জিতেছেন। তাঁর চেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন কেবল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (৩৮টি)। তবে ফার্গুসনের সঙ্গে নিজের নাম উচ্চারিত হবে বলেই উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা, ‘অ্যালেক্স ফার্গুসনের পাশে থাকতে পারা আমার জন্য বড় সম্মানের। আজ সকালেও তাঁর কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছি, যা আমাকে ছুঁয়ে গেছে।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে বেশ আবেগি হয়ে উঠেছিলেন গার্দিওলা, ‘আমাদের এই অর্জন তারায় তারায় লেখা থাকবে। এখন আমি ক্লান্ত, শান্ত ও সন্তুষ্ট। এই শিরোপা জেতা এত কঠিন! আমরা জানতাম, কাজটা ভীষণ কঠিন হবে। ইন্টার সত্যিই খুব ভালো দল। প্রথমার্ধে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। মাঝের বিরতিতে আমি বলেছিলাম, ধৈর্য ধরতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আজকে আমরা সেরা চেহারায় ছিলাম না। তবে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। বিশেষ করে এডারসন একেবারে শেষ মুহূর্তে যে সেভ করেছে …! আসলে সাফল্য পাওয়াটা মুদ্রা নিক্ষেপের মতো।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে