ইবির হলে ছাত্রী নির্যাতন, ঈদের পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩; সময়: ১:৩৬ অপরাহ্ণ |
ইবির হলে ছাত্রী নির্যাতন, ঈদের পর চূড়ান্ত ব্যবস্থা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সরাসরি মৌখিক বক্তব্য দিয়েছে অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে ঈদুল আজহার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভিসির কার্যালয়ে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সাক্ষ্য দেন তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে লিখিত জবাবের পর শেষ বারের মতো মৌখিকভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ।

এ সময় তিন অভিযুক্ত তাদের দেওয়া লিখিত জবাবকেই চূড়ান্ত বলে স্বীকৃতি দিলেও মোয়াবিয়া জাহান ও হালিমা খাতুন উর্মি তাদের দেওয়া লিখিত জবাবের সঙ্গে সোমবার আবার নতুন কিছু তথ্য যুক্ত করেন। এছাড়া আলাদাভাবে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নেয় শৃঙ্খলা কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শেষ বারের মতো তাদের কথা শোনার জন্য আমরা তাদের ডেকেছি। সেখানে অভিযুক্তদের মধ্যে মোয়াবিয়া জাহান ও হালিমা খাতুন উর্মি নতুন বক্তব্য সংযোজন করেছেন। বাকিরা বলেছে তাদের লিখিত বক্তব্যই চূড়ান্ত।

তারা মৌখিকভাবে কিছু কথা বলেছে। উচ্চ আদালত থেকে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। ঈদুল আজহার পর বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দিতে আসার সময়ে সড়কে নিরাপত্তা চাইলেও প্রশাসন নিরাপত্তা দেয়নি বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, আমাদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ছিল শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে নিরাপত্তা দেওয়া। আমরা প্রস্তুত থাকলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিরাপত্তা নেয়নি।

উল্লেখ্য, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল ও ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে