দেশে ফেরার পথে যাত্রীরা দেখলেন এক মায়াময়ী প্রধানমন্ত্রী!

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩; সময়: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ |
দেশে ফেরার পথে যাত্রীরা দেখলেন এক মায়াময়ী প্রধানমন্ত্রী!

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: তিন দিনের সরকারি সফর শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বিমানের সহযাত্রীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখা করেন, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি যাত্রীদের খোঁজ খবর নেন।

দেশে ফেরার পথে বিমানে উঠেই পুরো বিমান ঘুরে এভাবেই যাত্রীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট) যাত্রা করেছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত (১৭ জুন) ১টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে৷

এর আগে প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানে উঠে একে একে সব যাত্রীর সঙ্গে সালাম বিনিময় করেন। তিনি পুরো বিমান ঘুরে যাত্রীদের খোঁজ খবর নেন এবং কয়েকজন নারী যাত্রীর সাথে হাতও মেলান। কথা বলেন বেশ কয়েকজন যাত্রীর সাথেও। তিনি শিশুদের প্রতি বিশেষ স্নেহ দেখান।

বিমানে মায়ের কোলে থাকা একজন শিশুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, এরপরই পাশে থাকা শিশুটির সাথেও হ্যান্ডশেক করেন তিনি।

প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মায়ের কোলে থাকা একটি শিশুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এবং পাশে থাকা অপর এক শিশুর সাথে হ্যান্ডশেক করেন। পরে তিনি বিমানের মধ্যেই সহযাত্রীদের কয়েকজনের সাথে ছবি তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী যখন বিমানে সবার সাথে দেখা করছিলেন তখন তার সফরসঙ্গী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সাথেই ছিলেন।

এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেলে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটি দারুণ একটি দৃশ্য। মনে হচ্ছে কোনো গ্রামের নানি-দাদি বা কর্তারা কারো খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এই দৃশ্য কেউ এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বুধবার প্যালেস ডি নেশনসের বৈঠক কক্ষে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

একই দিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানিমুখী কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। এ ধারাবাহিকতায় আজ বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার অর্ধেকেরও বেশি এখন বাংলাদেশে। এ অর্জনকে এগিয়ে নিতে আমরা একটি ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পলিসি’ প্রণয়ন করেছি। আশা করি আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পরিশোধের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে