ব্যবসায় তৈরি করবে প্রতিবন্ধকতা, কমবে কর্মসংস্থান

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩; সময়: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ |
ব্যবসায় তৈরি করবে প্রতিবন্ধকতা, কমবে কর্মসংস্থান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কর‌তে অর্থ সরবরাহ ক‌মাতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে ব্যাংক ঋণের ৯ শতাংশ সীমা। কমানো হয়েছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা। আগামী ছয় মাসের জন্য ‘সঙ্কুলানমুখী ও আঁটসাঁট’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের ১ম ষাণ্মাসিকের জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর-২০২৩) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে পাওয়ার প‌য়ে‌ন্টের মাধ্য‌মে নতুন মুদ্রানীতির বিস্তারিত তু‌লে ধ‌রেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান। আগামী ১ জুলাই থেকে এ মুদ্রানীতি কার্যকর হবে।

ব্যাংক ঋণের সুদহার :

নতুন মু্দ্রানীতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহারে ৯ শতাংশের সীমা তুলে দিয়ে ‘রেফারেন্স রেট’ অর্থাৎ সুদ গণনার নতুন কাঠামো ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসএমএআরটি (স্মার্ট-সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ) নামের এ পদ্ধতিতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় হার ধরে ঠিক হবে রেফারেন্স। এরসঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে।

মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানান, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় হারের সঙ্গে ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫ শতাংশ সুদ যুক্ত করতে পারবে। এটাই হবে সুদের সর্বোচ্চ হার।
ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলে গড় সুদ ছিল ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। এর মানে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১২ শতাংশ। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ১ শতাংশ বেশি সুদ আরোপ করতে পারবে।

সুদহার বাজানোর বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ব্যাংকঋণের ৯ শতাংশ সুদহার নির্ধারণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। এ সীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটিও রাজনৈতিক। আমাদের কৃতিত্ব আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পরিস্থিতি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যখন এ সীমা দেওয়া হয়েছিল, তখন ব্যাংকগুলোর সুদ ১৮ শতাংশে উঠেছিল। তখন বিদেশি ঋণের সুদহার ছিল ২ শতাংশ। এখন বিদেশি ঋণের সুদ ৯-১০ শতাংশ। আবার টাকার অবমূল্যায়নের কারণে তার খরচ আরও বেশি হয়ে যাচ্ছে।

বাড়ল নীতি সুদ হার :

মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো ও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা সামাল দিতে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে নীতি সুদহার আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে।

নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি হার হিসেবে বি‌বে‌চিত রে‌পো সুদহার ৫০ বে‌সিস প‌য়েন্ট বা‌ড়ি‌য়ে ৬ দশ‌মিক ৫০ শতাংশ করা হ‌য়ে‌ছে। অর্থাৎ এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থে‌কে ব্যাংকগু‌লো জরু‌রি প্র‌য়োজ‌নে অর্থ নি‌লে গুণ‌তে হ‌বে অতিরিক্ত সুদ।

পাশাপাশি রিভার্স রে‌পো ২৫ বে‌সিস প‌য়েন্ট বা‌ড়ি‌য়ে ৪ শতাংশ ২৫ শতাংশ থে‌কে ৪ দশ‌মিক ৫০ শতাংশ করা হ‌য়ে‌ছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখ‌লে ব্যাংকগু‌লোকে আগের চে‌য়ে বে‌শি সুদ পা‌বে।
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি সামীর সাত্তার

গভর্নর জানান, নতুন মুদ্রানীতিতে টাকার চা‌হিদা কমা‌তে নী‌তি সুদহার বাড়া‌নো হ‌য়ে‌ছে। ঋণের সুদহা‌রের যে ৯ শতাংশ ক্যাপ ছিল তাও তু‌লে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

নীতি সুদহার ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুদহারের করিডর প্রথা চালু হ‌চ্ছে। এখন স্পেশাল রেপোকে বলা হবে স্ট্যান্ডার্ড ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ), নীতি সুদ ও রিভার্স রোপোকে বলা হবে স্ট্যান্ডার্ড ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ)।

মুদ্রানীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন :

প্রশ্নোত্তর প‌র্বে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে চার ধরনের লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলিত আছে। সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ এবং বিনিময় হার টার্গেটিং। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছিল। এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। মুদ্রানীতিতে এটা কাঠামোগত পরিবর্তন বলা যায়।

প্রশ্নোত্তর পর্বে গভর্নর বলেন, এবারের মুদ্রানীতি ‘কন্ট্রাকশনারি ও টাইট’ ভঙ্গির। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব ‘দুই পদ্ধতিতেই’ করবে।

অর্থাৎ আগে যে পদ্ধতিতে করা হতো, সেভাবেও করা হবে আবার বিপিএম৬ পদ্ধতিতেও করা হবে। তবে আমরা বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রকৃত রিজার্ভের তথ্য হিসাব করলেও তা প্রকাশ করব না। পৃথিবীর কোনো দেশ তা প্রকাশ করে না। আইএমএফ এর এ বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই প্রকাশে।

সরকার-বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি :

আগামী ছয় মাসের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, আগের বছর প্রাক্কলন করেছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ, গতবার যা ছিল ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ, চলতি বছরের মে পর্যন্ত হয়েছে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জন হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ ধরা হলেও মে মাস শেষে অর্জন হয়েছে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জাতীয় বাজেটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে ধরে রাখার পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে সরকার।

মুডি’স-এর রেটিং উদ্দেশ্য প্রণীত :

ঋণমান সূচক ‘নেতিবাচক’ রেটিং দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক ঋণমান প্রদানকারী সংস্থা মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, এ রেটিং কমানোর বিষয়ে আমাদের বিশেষ কিছু আসে যায় না। এটা করার পেছনে ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিলে সমস্যা নেই :

ব্যাংকের টাকা ছাপানো একটি চলমান কার্যক্রম। সরকারেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিলে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, এ বছর তারল্য সংকট ছিল। তাই টাকা ছাপিয়ে তা দূর কারার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সরকারকে ৭০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে মানুষ গুজবে কান দিয়ে অর্থ হাতে রাখার প্রবণতা বাড়ালে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেয়।

সিআরআর রাখতে ব্যর্থ ৮ ব্যাংক :

দীর্ঘদিন ধরে বেসিক, পদ্মা, ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকসহ ইসলামী ধারার ৮টি ব্যাংক সিআরআর (নগদ জমা সংরক্ষণের হার ) রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই যারা সমস্যায় আছেন তারা আবার ব্যাংক ব্যবসায় ফিরে আসুক। বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে তাদের ব্যবসায় ফেরানোর চেষ্টা করছি। আশা করি সমস্যগ্রস্থ ব্যাংকগুলো আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের জরিমানা পরিশোধসহ ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবে।

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম :

নতুন মুদ্রানীতি তারল্য সংকট বাড়াবে পাশাপাশি বিনিয়োগ কমবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৯ শতাংশ সুদহার থেকে বেড়িয়ে এসেছে। তবে সীমা তুলে দেওয়া হয়নি বরং এক শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইএমএফ-এর কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার সময় শর্ত ছিল ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। তার মানে এটা নিয়ে আইএমএফ-এর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

গত ৬ মাসের বেসরকারি ঋণের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, এ কারণেই এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমানো হয়েছে জানিয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হয় ব্যাংক খাতের মাধ্যমে। নতুন বিনিয়োগ মানেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ফলে এটা বিঘ্নিত হবে। বিনিয়োগের অগ্রগতি স্থির হয়ে যেতে পারে, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। তাছাড়া সরকার ব্যাংকখাত থেকে ঋণ বেশি নিচ্ছে। এবারের মুদ্রানীতিতে সেই লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে। এতে তারল্য সংকট আরও বাড়বে। যা বর্তমান অর্থনীতির জন্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান এ অর্থনীতিবিদ।

ডিসিসিআইয়ের সভাপতি সামীর সাত্তার :

মুদ্রানীতি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারের সীমা ৯ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সুদের হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেটি বর্তমান বৈশ্বিক অস্থির অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় বেশ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

ব্যাংক থেকে সরকার অধিক মাত্রায় ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহকে সংকুচিত করবে জানিয়ে ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, সরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ হ্রাসের জন্য সরকারি ব্যয় কৃচ্ছতাসাধন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়ন এবং অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমিয়ে আনতে কর আহরণের মাত্রা বাড়ানোর ওপর আরও বেশি হারে জোরারোপ করা উচিত, এতে করে ব্যাংক খাতের ওপর সরকারের নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে