শৈশবের হাওয়াই মিঠাই
ইন্দ্রাণী সান্যাল : বিকেল বেলা। মাঠে ছেলে-মেয়েরা ব্যস্ত নানান খেলাধুলায়। এমন সময় একজন হাক দিলেন ‘এই হওয়াই মিঠাই ’। কাচের ছোট একটি গাড়িতে লাল ও সাদা রঙের হওয়াই মিঠাই বিক্রি করছেন তিনি।
খেলা ছেড়ে কেউ কেউ হুমড়ি খেয়ে পড়লো হওয়াই মিঠাই বিক্রেতার কাছে। আবার কেউ কেউ ঘরে দৌড় দিলো মায়ের কাছে টাকা চাইতে। এই স্মৃতি নব্বই দশকের শত শত ছেলে-মেয়েদের শৈশবের।
সবসময় যে হাওয়াই মিঠাই কিনতে টাকা লাগতো তা কিন্তু নয়। পুরনো প্লাস্টিক, কাচের বোতল, মেয়েদের মাথার চুল এসব দিলেই মিলতো হাওয়াই মিঠাই। উপরের পলিথিন সরিয়ে মুখে দিতেই মিষ্টি স্বাদে হারিয়ে যেতে বাধ্য যে কেউ। এই ভালোলাগা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সময় বদলেছে। বিকেলের সেই খেলার সময় এখন আর নেই। আধুনিক ফোনের গেমের মধ্যেই কাটছে ছোটদের সময়। তাদের খাদ্যাভাসে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পছন্দের তালিকায় রয়েছে বার্গার, পিৎজা, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি ।
পথে ঘাটে আর দেখা যায় না হাওয়াই মিঠাই বিক্রি। সেই সাথে দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে এর চাহিদা। শৈশবের সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শৈশবের স্মৃতিও ।