পুরানো ঐতিহ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
আদিবা বাসারাত তিমা : বাংলাদেশের ইতিহাসের ঐতিহাসিক সাক্ষ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহার। যা বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের অনন্য নিদর্শন। শুধু দেশের ঐতিহ্যের নয় বিশ্ব ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছে এই স্থান।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। সেখানে
প্রবেশ করতেই দেখা যায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
অনেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পাহাড়পুর ঘুরতে এসেছেন। শুধু তাই নয় দেশ বিদেশের হাজার পর্যটন পিয়াসি মানুষের দেখা মেলে এখানে।
মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায় জাদুঘর। জাদুঘর থেকে মন্দিরে যেতে খানিকটা হেঁটে স্থাপনা এলাকায় পৌঁছাতেই চোখ ধাঁধানোর দৃশ্য।
সোনালি ইটের ওপর রোদের আলো ঝলমল করছে। প্রবেশমুখ থেকে মূল মন্দিরে যেতে পথের দুই পাশে দেশি ফুলের বাগান যা পুরাকীর্তির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
মন্দিরের গায়ে অসংখ্য প্রাণীর ছবি আঁকা। প্রাচীন মিসরীয় ভাষা হায়ারোগ্লিফের মতো। বিশাল এলাকাজুড়ে পুরোনো দিনের ছোট ছোট ইট দিয়ে নির্মিত প্রশস্ত দেয়াল। পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন।
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।