মিষ্টি সুবাসে পরিপূর্ণ বকুল ফুল

প্রকাশিত: ১২-০৭-২০২৩, সময়: ১৬:১১ |

ইন্দ্রাণী সান্যাল: বকুল ফুলের গাছকে বলা যেতে পারে একটি মায়াবতী বৃক্ষ। তার ফুলের যে শুধু গন্ধে মায়া, বর্ণে মায়া তা নয়। তার পাতায় পাতায়ও একই বিনীত নিবেদন। রাতে ফুল ফোটে আর সারা রাত টুপটাপ ঝরে, ভোরে কিশোরী মালা গাঁথবে বলে।

বকুল ফুল মাটিতে ঝড়ে পড়ার দৃশ্য নয়নাভিরাম। আবার ফুল ঝরলেও সে কখনো পাতা ঝরিয়ে উদোম হয় না শুধু ক্লান্ত পথিককে একটু ছায়া দেওয়ার জন্য। ভারি সুগন্ধি এই ফুল। শুকনো ফুলের সুগন্ধটা অনেক দিন থাকে। কয়েকটি ফুল ঘরে রেখে দিলে মিষ্টি গন্ধে মো মো করে ওঠে চারদিক।

তারার মতো দেখতে এই ফুলের কথাই নজরুল বলেছেন, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোঁপায় তারার ফুল ‘।
রবীন্দ্রনাথের অনেক প্রিয় ফুলের একটি ছিল নাকি বকুল। পদ্মাপারের শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি লাগিয়েছিলেন বকুলগাছ। আর সেই বকুলতলায় বসে কবি লিখেছেন,
‘ওগো, নির্জনে বকুল শাখায়
দোলায় কে আজি দুলিছে, দোদুল দুলিছে?

ছোট্ট বকুল। ঝরে পড়াতেই যার সার্থকতা। তাকে নিয়ে কত কথা, কত প্রেম, কত বিরহ। বকুল যে শুধু ফুল, তা নয়। সে ফল, সে আয়ুর্বেদী বৃক্ষও বটে। এই ছায়াতরুর কষা ফল পাখির সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পথে যেতে যেতে স্কুলগামী শিশুও খায়।

বকুলের পাতা সেদ্ধ করে মাথায় দিলে নাকি মাথাব্যথা কমে যায়। পাতার রসও নাকি চোখের জন্য উপকারী। কাঁচা বকুলের ফল প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে চিবিয়ে খেলে নাকি শক্ত হয় দাঁতের গোড়া।
বকুল ফুলের আরেক নাম মধুপুষ্প। এই মধুগন্ধা বা মধুপুষ্প রসে নাকি হৃদ্যন্ত্রের নানা রোগ সারে। মনের রোগও উপশম হয় এই ফুলের ছোঁয়ায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে আকৃষ্ট করে বকুল ফুল।

উপরে