রাজনীতিতে এসে বলিউডের যে রীতি ভাঙছেন অভিষেক

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসা নতুন কোনো ঘটনা নয়। বর্তমানে প্রায় বিকল্প পেশার পর্যায়ে পৌঁছেছে বিষয়টি।

বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলা সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের ভোটের আগে বিভিন্ন শিবিরে দেখা যায়। যদিও বলিউডে এই প্রচলন বেশ পুরোনো। কিন্তু এ দুই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পার্থক্য রয়েছে।

বলিউড তারকারা অনেকটা দেরি করেই রাজনীতিতে যোগ দেন। তার দৃষ্টান্ত সুনীল দত্ত, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকারা। তবে টলিউডের চিত্রটাই আলাদা। ফিল্মি ক্যারিয়ার যে সময় ঊর্ধ্বমুখী, তখনই সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা গেছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।

যার উদাহরণ হলেন দেব-নুসরত-মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকারা। কিন্তু বলিউডের সেই পুরানো রীতি কি ভাঙতে চলেছেন অভিষেক বচ্চন? ক্যারিয়ারে ছন্দে থাকা অবস্থাতেই রাজনীতির আঙিনায় হাতেখড়ি হতে চলেছে তার!

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন, সেই কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন রণকৌশল সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দল। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোটের ময়দানে দেখা যাবে অমিতাভ পুত্রকে। শুধু যে রাজনীতিতে যোগদান করবেন এমন নয়, সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে দেখা যাবে তাকে।

শোনা যাচ্ছে, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির হয়েই নাকি ভোটে লড়বেন অভিষেক। ১৯৮৪ সালে এলাহাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান অমিতাভ বচ্চন।

বিপুল ভোটে জিতেও মাত্র তিন বছরের মধ্যেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান বিগ বি। তবে ২০০৪ সাালে থেকে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জয়া বচ্চন। সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজসভার সদস্য তিনি।

মায়ের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছেন কি না, সেই নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করেননি অভিষেক। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে যে, বাবার লোকসভা কেন্দ্র এলাহাবাদ থেকেই দাঁড়াতে পারেন অভিষেক।

গত বছরই মুক্তি পায় অভিষেক বচ্চনের ‘দশভি’ সিনেমা। সেখানে হরিয়ানার এক রাজনীতিকের চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এবার সত্যি সত্যি তাঁকে রাজনীতিতে দেখা যায় কি না, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।