গ্র্যান্ডমাস্টারের লক্ষ্যে বাবা-ছেলের গ্রিস যাত্রা

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩; সময়: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ |
খবর > খেলা
গ্র্যান্ডমাস্টারের লক্ষ্যে বাবা-ছেলের গ্রিস যাত্রা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামীকাল (সোমবার) ভোরে গ্রিসের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করবেন দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান।

জিয়ার সফরসঙ্গী তার একমাত্র পুত্র ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার এবং স্ত্রী তাসমিন সুলতানা লাবণ্য। গ্রিসে তিনটি ও ফেরার পথে দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলবেন এই বাবা-ছেলে।

বাংলাদেশে পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারের মধ্যে একমাত্র জিয়াই নিয়মিত দেশে ও দেশের বাইরে খেলেন। খেলার পাশাপাশি কোচিংও করান তিনি। জিয়ার এখন নিজের চেয়ে ছেলেকে নিয়েই ভাবনা বেশি।

তাহসিনকে দ্রুত গ্র্যান্ডমাস্টার বানানোর অংশ হিসেবেই মূলত জিয়ার এই গ্রিস যাত্রা, ‘তাহসিন টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো খেলতে পারলে আইএম নর্ম পেতে পারে। পাশাপাশি আমিও কিছু টুর্নামেন্ট খেললাম।’

তাহসিন বর্তমানে ফিদে মাস্টার। আন্তর্জাতিক মাস্টারের একটি নর্ম অর্জন করেছেন ইতোমধ্যে। আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে তার আরও দুটি নর্ম প্রয়োজন। তদ্রুপ আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার পর গ্র্যান্ডমাস্টার হতেও তিনটি নর্ম লাগবে।

ইউরোপের দেশ গ্রিস বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার ব্যাখ্যা, ‘গ্রিসের কাছাকাছি সময়ে তিনটি ভালো মানের টুর্নামেন্ট রয়েছে। আমার সামনে এশিয়ান গেমস রয়েছে সেটার প্রস্তুতিও হলো, আবার তাহসিনের নর্মের সম্ভাবনাও থাকল এই সব ভেবেই গ্রিস বেছে নেওয়া।’

আগামী ১৯ জুলাই-১২ আগস্ট গ্রিসের দুই শহরে (এথেন্সের বাইরে) তিনটি টুর্নামেন্ট খেলবেন বাবা-ছেলে। ১৪ আগস্ট দুবাইয়ে খেলবেন আরেকটি টুর্নামেন্ট।

প্রায় দেড় মাসের এই সফরে দুজনকে সঙ্গ দেবেন লাবণ্য। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তরের পর বিসিএস ক্যাডার হয়েও শুধু জিয়ার দাবা প্রেমের জন্য যোগ দেননি।

চারটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, গ্রিস-দুবাই সফরের সামগ্রিক ব্যয় মিলিয়ে লাগবে প্রায় দশ লাখ। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া এবং ফিদে মাস্টার তাহসিনকে দুটি প্রতিষ্ঠান এই চার টুর্নামেন্টের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

তাদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন জিয়া, ‘আমাকে পুলিশ চেস ক্লাব এবং তাহসিনকে সাইফ পাওয়ারকেট পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তাদের সহায়তাতেই মূলত আমাদের এই সফর হচ্ছে। তারা সহায়তা না করলে সম্ভব হতো না।

সাইফ পাওয়ারটেক বর্তমানে দাবার অন্যতম বড় পৃষ্ঠপোষক। পুলিশ চেস ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতার মূলে আছেন শোয়েব রিয়াজ আলম ভাই (পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি এবং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক)।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবা ফেডারেশনে নতুন আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দাবার উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করেছেন। তার উদ্যোগে স্কুল দাবা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানকে গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মের জন্য গত তিন মাসে কয়েকটি টুর্নামেন্টেও খেলিয়েছেন।

এবার গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াকে সহায়তা করছেন তিনি। তবে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েও গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ফেডারেশন কিংবা ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ সেভাবে পাননি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে