বাগমারায় ৬৭ হাজার পরিবার ভাতাভোগী

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৩; সময়: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় ৬৭ হাজার পরিবার ভাতাভোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার খানাবাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ হাজার পরিবার এখন ভাতা ভুক্ত হয়েছে। এসব পরিবারের কোন না কোন সদস্য বিভিন্ন ভাতা সুবিধার আওতায় এসেছে। দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে আগামীতে এসব ভাতার পরিমান বৃদ্ধি করা হবে। এই ভাতা সহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চলতি বাজেটেই ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই গরীব দুখি অহসায় মানুষ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছে। এই ভাতার টাকা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। আজ এই মতবিনিময় সভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। কারণ এই ইউনিয়ন নৌকার ঘাটি, আওয়ামী লীগের ঘাটি। এখানকার আশিভাগ মানুষ নৌকার সমর্থক।

নৌকা মানেই উন্নয়ন, নৌকা মানেই পাকা রাস্তা, নৌকা মানেই ঘরে ঘরে বিদ্যুত। আমি নৌকার সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক। তিন তিন বার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আপনারা আমাকে বিজয়ী করেছেন। আগামীতে আবারও নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবেন। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।

উপস্থিত ভাতাভোগিদের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, আমি এই ছবি ও ভিডিও এখনই শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দিলাম। আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্থ রাখেন, দীর্ঘজীবি করেন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের কাতিলা সবুজ আদর্শ হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুবিধাভোগিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়র এনামুল হক এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার বলেন, আমি নিশ্চিত আবারও ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বাগমারা আসন থেকে নৌকা প্রতীক পাবেন। কিছু দুষ্ট লোক তার নামে বদনাম করে। তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। চিলে কান নিয়ে গেছে বলে চিলের পিছনে দৌড়াবেন না।

আজ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে কটাক্ষ করা মানে শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করা। ওই সমস্ত লেবাসধারী নেতাদের কথায় কান দিবেন না। তারা রাতে জামায়াত-বিএনপি’র সাথে আঁতাত করে নৌকার ক্ষতি সাধন করতে চায়।

যোগিপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য এমএফ মাজেদুল ইসলাম সোহাগের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মণ্ডল, সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সম্পাদক আব্দুল জলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম।

এছাড়াও মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক, হামিরকুৎসা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, হামিরকুৎসা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব আলী, মাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম আলী আসকান, যোগিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদুল ইসলাম সোহাগের স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কানিজ তানজিনা তুলি, সাংদদের ব্যক্তিগত সহকারি আতাউর রহমান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মহসিন আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল রউফ, ভবানীগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলন উপস্থিত ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে