নেককার স্ত্রী সম্পর্কে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩; সময়: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
নেককার স্ত্রী সম্পর্কে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : একজন সৎ ও নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য রহমত ও অনেক বড় নেয়ামত। নেককার স্ত্রীকে দুনিয়ার সব থেকে উত্তম সম্পদ হিসেবে গণ্য করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, যখন এই আয়াতটি নাযিল হল-

وَالَّذِينَ يَكْنزونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ الله

(যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে এবং তা আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করে না, তাদেরকে কষ্টদায়ক মর্মন্তুদ আযাবের সুসংবাদ দিন।) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন বার বললেন, ‘স্বর্ণ-রূপার বিনাশ হোক’ কথাটি সাহাবায়ে কেরামের জন্য কিছুটা ভারী মনে হল। তাই তারা জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আমরা কোন বস্তুকে সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করব? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

لِسَانًا ذَاكِرًا، وَقَلْبًا شَاكِرًا، وَزَوْجَةً تُعِينُ أَحَدَكُمْ عَلَى دِينِهِ

জিকিরকারী জবান, শোকরকারী অন্তর, এবং এমন স্ত্রী, যে তার স্বামীকে দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করবে। -(তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৫৪৮ (দারুল ফিকর); মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩১০১, ২২৩৯২)

এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, পার্থিব জগতটাই হল ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) সাধ্বী নারী। -(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৬৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৫৬৭; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৪০৩১)

এক হাদিসে হজরত আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই।

কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়। তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা (শপথকৃত কর্ম) পূরণ করে।

স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে (অন্যায়-অপকর্ম থেকে) এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে।-(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৫৭)

হজরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, নারীদের মধ্যে কোন নারী উত্তম।

তিনি বললেন, স্বামী যাকে দেখলে আনন্দবোধ করে, যাকে আদেশ করলে আনুগত্য করে, স্ত্রীর বিষয়ে এবং সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকে।-(মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৭৪২১; সুনানে নাসায়ী, কুবরা, হাদীস : ৮৯৬১)

স্ত্রী হিসেবে একজন নেককার নারী তালাশ করা সকল পুরুষের কর্তব্য। আর প্রতিটি নারীর কর্তব্য, স্বামীকে দ্বীনের কাজে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা। একজন নারীর কর্তব্য হলো স্বামীকে তার দ্বীনদারির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, স্বামীকে দ্বীনের পথে চলার গুরুত্ব বোঝানো।

স্বামী যদি নামাজি হন, কিন্তু জামাতে নামাজের ব্যাপারে তার উদাসিনতা থাকে, তাহলে এ বিষয়ে তাকে উৎসাহ দেওয়া এবং প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করা উচিত স্ত্রীর।

আমলের প্রতি স্বামীর আগ্রহ কম থাকলে অথবা কোনো আমল কিছুদিন শুরু করে আবার ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস থাকলে স্ত্রীর উচিত নিজের আমল বাড়িয়ে দেওয়া। এবং আল্লাহর কাছে স্বামীর জন্য দোয়া করা।

এতে আমলের প্রতি স্বামীরও আগ্রহ তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে