রাজশাহী-১ আসনে কার কেমন জনপ্রিয়তা?
নিজস্ব প্রতিবদেক : নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথমে। দেশের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচন কেন্দ্র করে নানামুখি তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
বিশেষ করে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। একই সঙ্গে কে কে কেন দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন, কে পেতে পারেন এবং দলে কার প্রভাব ও জনপ্রিয়তা বেশী এ নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আর এ নিয়ে পদ্মাটাইমসের নিজস্ব ফেসবুক পেজে মতামত গ্রহন করা হয়।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের পোলে প্রশ্ন ছিল ‘‘রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আপনি কাকে সমর্থন করবেন?’’ সেখানে পৃথকভাবে দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছয়জন করে ১২ জনের নাম দেয়া হয়। পোষ্ট করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে টিকচিহ্ন দিয়ে তাদের সমর্থন জানান ফেসবুক ব্যবহারকারিরা।
আওয়ামী লীগ
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশী সমর্থন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এবং গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আখতার। তাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান জরিপে অংশ নেয়া ৫৬ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি।
এর পরের অববস্থানে রয়েছেন রাজশাহী-৬ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়শা আক্তার ডালিয়া। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তাকে চান জরিপে অংশ নেয়া ১৩ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি।
এছাড়াও এ আসনের আওয়ামী লীগের তিনবারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীকে আবারো প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ১২ শতাংশ, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ৭ শতাংশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান আসাদ ৭ শতাংশ এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে চান এই জরিপে অংশ নেয়া ৫ শতাংশ ফেসবুক ইউজার।
বিএনপি
রাজশাহী-১ আসনে এবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাহাদৎ হোসেন শাহীনকে চান জরিপে অংশ নেয়া ৫৩ শতাংশ ফেসবুক ইউজার। তিনি গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এর পরের অবস্থানে থাকা আভা হককে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান জরিপে অংশ নেয়া ২১ শতাংশ ফেববুক ব্যবহারকারি। আভা হক তিনবারের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী।
তার পরের অবস্থানে রয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাগ্নে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। তাকে বিএনপির প্রার্থী চেয়েছেন ১১ শতাংশ।
এছাড়াও জরিপে অংশ নেয়া ৮ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা শিল্পপতি অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেককে চান। আর ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে চান ৫ শতাংশ এবং বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মারকনিকে চান ২ শতাংশ।
(এ জরিপ শুধুমাত্র পদ্মাটাইমসের নিজস্ব। এতে অংশ নিয়েছে শুধুমাত্র ফেববুক ব্যবহারকারিরা। এ জরিপ কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হবে না।)
