সীমান্তে ৪৭ হাজার অভিবাসীকে আটকে দিয়েছে বুলগেরিয়া

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩; সময়: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ |
সীমান্তে ৪৭ হাজার অভিবাসীকে আটকে দিয়েছে বুলগেরিয়া

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনিয়মিত পথে সীমান্ত পারাপারের প্রায় ৪৭ হাজার চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে বুলগেরিয়ার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় এই প্রচেষ্টা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বুলগেরিয়া দাবি করেছে, ২০২২ সালের ১ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী তুরস্কের সাথে থাকা সীমান্ত থেকে বুলগেরিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এসব অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকিয়ে তাদেরকে পুনরায় তুরস্কের দিকে পুশব্যাক করে সোফিয়া।

দেশটি বলছে, চলতি বছরের একই সময়ে বেআইনিভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ৪৭ হাজার ৯৪০ জন অভিবাসী। এর ফলে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে বুলগেরিয়ার সীমান্তরক্ষীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত এলাকায় আটক হওয়া অভিবাসীদের সংখ্যা ৪০০-এ দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ২০০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে বুলগেরিয়াজুড়ে পরিচালিত অভিযানের কারণে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়েছে।

২০২২ সালের জুন এবং জুলাই মাসে পরিচালিত অভিযানের পর ১৯৪টি প্রাক-বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের একই সময়ে সেটি বেড়ে ৩৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। সীমান্ত ছাড়াও বুলগেরিয়ার অভ্যন্তরে আটক হওয়া অ-ইউরোপীয় বা তৃতীয় দেশের নাগরিকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক ও অভিবাসন অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন হাজার ৪৫২ জন তৃতীয় দেশের নাগরিক আটক হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯২৮ জন – অর্থাৎ ৩,৭ গুণ বা ২৭০ শতাংশ বেশি।

২০২৩ সালের শুরুতে অনিয়মিত অভিবাসীদের পাচারের বিরুদ্ধে ‘হাওয়ালা’ নামে বড় আকারের একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রসিকিউটর অফিস।

চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্টেটওয়াচের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বুলগেরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই বুলগেরিয়াকে প্রায় ৬০ কোটি ইউরো সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউরোপীয়ান কমিশন।

তবে বুলগেরিয়ান সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, চুরি, পুশব্যাক ও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যানের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকায় এই অর্থায়নে ক্ষোভ জানিয়েছে এনজিওগুলো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে