ট্রেনের ধাক্কায় রেলসেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে মরল তিনজন

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩; সময়: ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ |
ট্রেনের ধাক্কায় রেলসেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে মরল তিনজন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মাজারের বাৎসরিক ওরসে আসা ভক্তরা রেললাইনের ওপর ভিড় করেছিলেন। এর মধ্যে ট্রেন চলে আসায় দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন তারা। এ সময় ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে তিতাস নদীতে লাফিয়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জীবন বাঁচাতে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের পৌরশহরের খরমপুর মাজার শরিফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে দায়িত্বরত পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়েকশ মাজারভক্ত খরমপুর মাজার শরিফের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজারে আসা লোকজন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। সবাই রেললাইন থেকে নেমে পড়লেও কিছু ব্যক্তি ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকৃত লাশগুলোর সবার পরিচয় জানা যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম শুক্কুর মিয়া (৫৫)। তিনি নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার দোয়ারি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরিফে বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরস শেষ হবে। ওরসে লাখো লোকের সমাগম হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে