প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নিয়ে গণশিক্ষা সচিবের বার্তা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩; সময়: ৪:০৪ অপরাহ্ণ |
প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নিয়ে গণশিক্ষা সচিবের বার্তা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে চলতি বছর নিয়োগ পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।

সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, চলতি বছরই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আয়োজন করতে চাইছি। নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বুয়েটসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

জানা যায়, বর্তমানে- সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি। গত ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।

আগের মতো কোটাপদ্ধতি মেনে নিয়োগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে আগের মতো কোটাপদ্ধতি মেনে এবারও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালায় কোটার বিষয়ে যেভাবে বলা আছে, তা অনুসরণ করে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯–এ বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে সেই কোটাসংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে