বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩; সময়: ১১:২১ অপরাহ্ণ |
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, নীরবতা পালন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন অতিথিরা। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আরিফা ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি মিত্রবাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ এবং আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাবার ক্ষেত্রে সফল হন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনায় জাতির এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচারের কাজ সম্পূর্ণ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

অনুষ্ঠানে মূল আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সম্পর্কে আলোচনায় বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের মত ঘটনা মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুবই বিরল। স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালির অধিকারের ইতিহাস তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে দেশ স্বাধীন পর্যন্ত নানা স্লোগান আর প্রতিবাদে উজ্জীবিত করেছিলেন বাঙ্গালি জাতিকে।’

বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী।’ বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে আজ বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি তা শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে শুরু হয়েছিলো। সে সময় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের ইতিহাস গড়েছিলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা আরো আগেই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতাম।’

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান ও সাংবাদিকতা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. শাতিল সিরাজ। উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘ আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান হলো বঙ্গবন্ধু এবং শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের মহান স্বাধীনতা।’

আলোচনা শেষে ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

অনুষ্ঠানে সে সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে