পাঙ্গাশ ছাড়া ৩০০ টাকার নিচে মাছ নেই , বেড়েছে ব্রয়লারের দামও

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩; সময়: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ |
পাঙ্গাশ ছাড়া ৩০০ টাকার নিচে মাছ নেই , বেড়েছে ব্রয়লারের দামও

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন ক্রেতারা। যে পণ্যে হাত দিচ্ছেন সেটাই আগুন মনে হচ্ছে তাদের কাছে। গরিবের মাছ খ্যাত পাঙ্গাশ ছাড়া বাজারে তিনশ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই।

গরু আর খাশির মাংসের কথা তো অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার চিন্তাও করতে পারে না। দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও। চড়া সবজির বাজারও। আর ডিমের দাম তো ইতোমধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান বাজারের মাছ বিক্রেতা ফরিদের কাছে মাছের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা, রুই সাড়ে তিনশ, কাতল ৩৪০ টাকা, তেলাপিয়া ৩০০ টাকা।’

গত সপ্তাহের সাথে এই সপ্তাহের দামের পার্থক্য জানতে চাইলে ফরিদ বলেন, ‘পাঙ্গাশের দাম বাড়ছে। ২০০-২২০ টাকা ছিল।বাকিগুলা তো আগের দামেই আছে।’

শিয়া মসজিদ বাজারে দেখা গেল ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। দাম অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আধা কেজি ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকার বেশি।

৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ ১৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত৷

এছাড়া বাজারে পোয়া মাছের কেজি ৪০০ টাকা কেজি, তুলার ডাডি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি গুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ৩২০ টাকা কেজি, ট্যাংড়া মাছ ৫০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছের কেজি ৩০০ টাকা।

বাতাসি মাছের কেজি ৩৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আবার তা ২০০ টাকায় পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা কালাচানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়তে দাম বেশি। আমরা কেজিতে ৫/১০ টাকা লাভ পাই।’

এদিকে উচ্চ দামের বোঝা বইতে গিয়ে বিপাকে ক্রেতাদের একটি অংশ৷ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামসুল হক শিয়া সমজিদ বাজারে বাজার করতে আসেন শুক্রবার সকালে।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি। এমন কোনো অপশন নাই যে, আপনি কম দামে কিছু কিনতে পারবেন। প্রতি মাসেই ঋণ হচ্ছি। এভাবে চলে না। ক্রেতাদের হতাশার আরেকটি জায়গা সবজির বাজার। ২০-২৫ টাকার আলু এখন ৪৫ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজিও ৫০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, দুন্দল ৮০ টাকা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, কচুর মুখী ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে নগরীর আদাবর এলাকার মুদি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কী বিক্রি করুম আর কী কিনুম! সবার অবস্থা একই। আমার থেকে যারা কেনে, তারাও কষ্টে আছে। সব জিনিসের দাম বেশি।

আমি কিছু কিনতে গেলে, সেখানেও দাম বেশি। সকালে এক কেজি বরবটি কিনতে গেছি, দেখি ৮০ টাকা। পরে আধা কেজি নিয়া আসছি। টমেটো কিনি না কতদিন মনে নাই। ১২০, দেড়শো টাকা কেজি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে