ইবরাহিম আ.-এর সহীফায় যেভাবে উপদেশ দেওয়া হতো

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩; সময়: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
ইবরাহিম আ.-এর সহীফায় যেভাবে উপদেশ দেওয়া হতো

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের কাছে জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে অনেক আসমানি কিতাব প্রেরণ করেছেন।

এর মধ্যে ১০৪টি আসমানি গ্রন্থ বিখ্যাত। এগুলোর মধ্যে ৪টি কিতাব অর্থাৎ বড় গ্রন্থ, আর ১০০টি রিসালা বা সহীফা অর্থাৎ পুস্তিকা বা ছোট বই।

প্রসিদ্ধ চারটি কিতাব হলো তাওরাত, জাবুর, ইনজিল ও কোরআন। এর মধ্যে তাওরাত দেওয়া হয়েছিলো হজরত মুসা (আ.)-কে। জাবুর দেওয়া হয়েছিলো হজরত দাউদ আ.-কে।

ইঞ্জিল দান করা হয়েছে হজরত ঈসা আ.-কে এবং ধর্মগ্রন্থ হিসেবে কোরআন দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ নবী আল্লাহর হাবীব হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে।

সবগুলো কিতাবে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ ও সত্য দ্বীনের পথে অবিচল থাকার আহ্বান করা হয়েছে। আল্লাহর খলিল হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের ওপর অবতীর্ণ হয়েছে সহীফা, এতেও আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে তাওহীদের দিকে আহ্বান করেছেন।

হজরত আবু জর গিফারী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইবরাহিম আ.-এর সহীফা কেমন ছিল? এর উত্তরে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এই সহীফায় শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছিলো।

একটি দৃষ্টান্তে অত্যাচারী এক শাসককে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, নিজেকে নিয়ে অহংকার করা হে ভূঁইফোঁড় শাসক! আমি তোমাকে ধনৈশ্বর্য জমা করার জন্য দান করিনি, বরং আমি তোমাকে এজন্য শাসন ক্ষমতা দিয়েছি যেন তুমি নীপীড়িত মানুষের কান্না-বদদোয়া আমার পর্যন্ত পৌঁছতে না দাও। কারণ, আমার আইন হলো- আমি নীপীড়িতের দোয়া ফিরিয়ে দেই না, যদিও তা কাফেরের মুখ থেকে হয়ে থাকে।

আরেকটি দৃষ্টান্তে সাধারণ মানুষকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, বুদ্ধিমানের কাজ হলো- নিজের সময়কে তিনভাগে ভাগ করা। একভাগ তার পালনকর্তার ইবাদত ও তার সঙ্গে মুনাজাতের জন্য।

আরেক ভাগ, আত্মসমালোচনায় ও আল্লাহর মহাশক্তি এবং তার সৃষ্টি-নৈপূণ্য সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য। আর তৃতীয়ভাগ নিজের জীবিকা উপার্জন ও স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যয় করো।

আরও বলা হয়েছে, বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য হলো সে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল থাকবে, উদ্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং জিহ্বার হেফাজত করবে।

যে ব্যক্তি নিজের কথাকেও নিজের কাজ মনে করবে তার কথা খুবই কম হবে এবং শুধু জরুরি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮ম খণ্ড, ৭৫৮, সূরা আলা, আয়াত, ১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে