বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত অভিলাষ বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা ছিল না : স্পিকার

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৩; সময়: ৬:১৩ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত অভিলাষ বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা ছিল না : স্পিকার

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের শোষণ-বঞ্ছনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অনশন করেছেন এবং কারাবরণও করেছেন।

তার দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফলেই এসেছে বাংলার স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত অভিলাষ বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা ছিল না।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির মাল্টিপারপাস হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফকরুদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ বক্তব্য রাখেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দীন এবং স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগত অভিলাষ বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা বঙ্গবন্ধুর ছিল না। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করেছেন বলেই তার ডাকে সাড়া দিয়ে হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভিত রচনার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভে সচেষ্ট ছিলেন

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ এনে দিয়েছিলেন। তার এই সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এই দুটো সংস্থারই সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে পেরেছে, যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তিনি বাংলার মানুষকে ভালোবাসতেন। বাঙালির প্রতি অক্ষয় ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তুলেছিল।

মুজিব চিরন্তন। মুজিবকে মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে থেকেই এক মুজিব থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

এসময় স্পিকার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সাউইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে