১৭ বছর পর টোকিওর পথে ডানা মেলবে বিমান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩; সময়: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ |
১৭ বছর পর টোকিওর পথে ডানা মেলবে বিমান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেড় যুগের বিরতি কাটিয়ে সরাসরি জাপানের টোকিওর পথে উড়তে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে জাপানের নারিতা বিমানবন্দরের পথে উড়বে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার।

উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। উদ্বোধনী ফ্লাইটে অন্যান্য যাত্রীর সঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, টিকেট বিক্রয় প্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের থাকার কথা।

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৬০ কিলোমিটারের দূরে নারিতা বিমানবন্দরের অবস্থান। ঢাকা থেকে সেখানে যেতে সময় লাগবে ৬ ঘণ্টা। চালু হতে যাওয়া ফ্লাইট বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও নেপালের যাত্রীদের কাছেও জনপ্রিয় হবে বলে আশা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিমানের ফ্লাইট (বিজি ৩৩৬) নারিতার উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী যাত্রা করবে। নারিতায় পৌঁছানোর দুই ঘণ্টা বাদে ফ্লাইটটি ফিরতি যাত্রায় ঢাকার পথে উড়বে।

এর আগে ১৯৭৯ সালে টোকিওর পথে ফ্লাইট চালু করেছিল বিমান। ১৯৮১ সালে সাময়িক বিরতির পর ঢাকা-নারিতা রুটে ফ্লাইট চালাতে শুরু করে বিমান। পরে ২০০৬ সালে জাপানের সঙ্গে বিমানের সরাসরি এ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।

বিমানের কর্মকর্তা জানান, অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে এই রুটটি পরিচালনা করবে বিমান। ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নারিতার পথে ঢাকা ছাড়বে বিমান। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় জাপান থেকে ঢাকার পথ ধরবে সেই ফ্লাইটটি।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “এতদিন অন্য কোনও দেশ ঘুরে ঢাকা থেকে জাপান যেতে হত। আমাদের ফ্লাইটের বিশেষত্ব হচ্ছে ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট।”

এমনিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত জাপানি আর জাপানে পড়ুয়া কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নেই।

তবে এই রুটটি বিমানের টরন্টো (কানাডা) রুটের মতোই লাভজনক হবে বলে আশাবাদী বিমান এমডি শফিউল আজিম।

তার ভাষ্য, “আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীরাও এই ফ্লাইটের সুবিধা গ্রহণ করবেন।”

এর আগে গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “নারিতাতে বিমানের ফ্লাইট চালানোর বিষয়টি শুধু ব্যবসায়িক নয়। এখানে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে আন্তঃসম্পর্ক, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয় জড়িত।

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদীনের সম্পর্ক। এই রুটে যাত্রী চাহিদাও আছে।”

টরন্টোর পথে ফ্লাইট নিয়ে শুরুতে অনেক সমালোচনা হলেও এখন সেটিই বিমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট দাবি করে শফিউল বলেছিলেন, আশপাশের দেশের যাত্রীদের মধ্যেও বিমানের টরন্টো ফ্লাইটটি জনপ্রিয় হয়েছে। নেপালের প্রায় দেড় লাখ মানুষ জাপানে আছেন। এছাড়া কলকাতা-দিল্লি থেকেও নারিতা ফ্লাইটের যাত্রী আনতে পারবে বিমান।

সব মিলিয়ে রুটটি জনপ্রিয় হওয়ার আশা দেখছেন তিনি।

গত ২৫ জুলাই থেকে নারিতা রুটের টিকিট বিক্রি শুরু করে বিমান। ঢাকা থেকে নারিতা একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয় ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং ফিরতিসহ টিকিটের মূল্য ধরা হয় ১ লাখ ১১ হাজার টাকা।

তবে নতুন রুট উপলক্ষে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ে টিকেট বিক্রি করেছে বিমান। এসময় জনপ্রতি সর্বনিম্ন (একমুখী) ৪৯ হাজার টাকায় টিকেট বিক্রি করা হয়।

আর ফিরতিসহ বিশেষ ছাড়ে ৮৪ হাজার টাকায় নারিতার টিকেট কিনেছেন যাত্রীরা। ইতোমধ্যে উদ্বোধনী ফ্লাইট ‘ফুল’ বলে জানিয়েছেন বিমানের কর্মকর্তারা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে