নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে আ.লীগের ১৭ প্রার্থী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩; সময়: ৩:০৯ অপরাহ্ণ |
নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে আ.লীগের ১৭ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে দুইদিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১৭ প্রার্থী। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুইদিন ধরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে গুরুদাসপুর উপজেলার ৯ প্রার্থী, বড়াইগ্রাম উপজেলার ৭ এবং নাটোর সদর উপজেলার ১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

ইতোমধ্যে আওয়ামীগের অনেক নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ সেপটেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন এ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। এ সময় ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র লীগের সহ সভাপতি আবু হানিফের নেতৃত্বে শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, যুব মহিলা লীগসহ গুরুদাসপুর – বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও তৃর্ণমুলের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই দিনেই গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।

গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম দুই উপজেলায় মোট ১৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশি ফর্ম তুলেছেন এর মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ সভাপতি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, তিন বারের গুরুদাসপুর পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য, রাবির সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় যুব লীগের সদস্য আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কাদের, সাবেক আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুব্রত কুমার কুন্ড এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী, বনপাড়া পৌর আ.লীগের সভাপতি কে এম জাকির হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. সরকার আরিফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদ্দুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ কে এম শাহজাহান কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম রফিকুল পারভেজ এবং নাটোর সদর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রতন সাহা মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে এ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি এবং উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন। তিনি দেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছিলেন। এ দেশের গরিব ও দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই দেশকে বিশ্ব দরবারে নতুন করে তুলে ধরেছেন। আমি মনোয়ন পেলে গৌরবের প্রতিক নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে নারী নেতৃত্ব যে দুর্বল নয় সেইটা প্রমান করে দিবো ইনশা আল্লাহ। সেই সাথে আমার প্রয়াত বাবা ৫ বারের এমপি এবং নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সভাপতি ও উত্তর জনপদের বর্ষিয়ান নেতার স্বপ্ন পুরনে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে তার নির্মল ও আদর্শের রাজনীতির স্মৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা করবো। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য রেখে ত্যাগ স্বীকার করে এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। আর ছাত্র জীবন থেকে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এ কারণে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আশা করছি দল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না। তার পরও দলের হাইকমান্ড যাঁর প্রতি আস্থা রাখবে তাঁর হয়েই আমি কাজ করে যাব।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের বর্ষীয়ান ও কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দসের মৃত্যুতে শূন্য হওয়ায় নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ২৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ১১ অক্টোবর ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে