সম্মেলনকে ঘিরে রাবি ও রুয়েট ছাত্রলীগে প্রাণচাঞ্চল্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩; সময়: ৩:২৯ অপরাহ্ণ |
সম্মেলনকে ঘিরে রাবি ও রুয়েট ছাত্রলীগে প্রাণচাঞ্চল্য

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : প্রায় ৭ বছর পর আগামী ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন।

আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম বৃহৎ এই দুই ইউনিটের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সঞ্চার হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা লোকাল নেতৃত্বের উর্ধ্বে স্বচ্ছ ইমেজধারী, যোগ্য, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রনেতারাই ইউনিট দুটির দায়িত্বে আসুক।

এদিকে সম্মেলন সম্পন্ন করতে ও নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাবির প্রধান ফটক, কাজলা ও বিনোদপুর ফটক, প্রশাসন ভবনসহ রাবি ও রুয়েটের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল এবং প্রধান সড়কগুলো ছেয়ে গেছে পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে।

অনুসারীদের নিয়ে নিয়মিত ক্যাম্পাসে শো ডাউন ও মিছিল করে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিচ্ছেন তারা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মী ও অনুসারীদের দিয়ে চায়ের আড্ডায় বসছেন পদপ্রার্থী নেতাকর্মীরা। এদিকে দীর্ঘ ৭ বছর পর ছাত্রলীগের সম্মেলনের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রায়হানুল ফেরদৌস রাজ বলেন, দীর্ঘকাল ধরে যখন একটা কমিটি থাকে তখন সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা চলে আসে। এখন সম্মেলনের পর নতুন কমিটি আসলে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠে সংগঠন একটা গতিশীলতা পাবে।

রাবি ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক জামসেদ আলম সবুজ বলেন, বহুল প্রত্যাশিত রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যোগ্য কাণ্ডারী সাদ্দাম ভাই ও ইনান ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সম্মেলনের মাধ্যমে রাবি ও রুয়েটে স্বচ্ছ ইমেজধারী ও যোগ্য নেতৃত্ব আসুক এটাই প্রত্যাশা করছি।

রাবি শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরে সিট বাণিজ্য, ভর্তি জালিয়াতি, শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততায় ইউনিটটি বিতর্কিত হয়েছে। পাশাপাশি রাবিতে সবসময় লোকালদেরই নেতা বানানো হয় যা অন্য জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য হতাশাজনক।

তাই সামনের কমিটিতে এমন নেতা আসুক যারা লোকাল পরিচয়ে নয় বরং ছাত্রবান্ধব, যোগ্য, স্বচ্ছ ইমেজধারী হয়েই নেতৃত্ব পাবেন।
রাবি ছাত্রলীগের উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দুর্জয় বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখানে আসে বাইরের জেলাগুলো থেকে। সুতরাং নেতৃত্বে স্থানীয়দের গুরুত্ব না দিয়ে সমন্বয় করে নেতৃত্ব আসুক যারা ক্যাম্পাসটাকে বিক্রি করবে না বরং আগলে রাখবে।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, রাবি ছাত্রলীগে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রাজনীতি করতে হয়। বিশেষ করে একসময় জামায়াত শিবিরের প্রভাব এখানে বিদ্যমান ছিলো।

আমি বিশ্বাস করি যে আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে ও সামনের নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারবে এরকম নেতৃত্ব আসবে।

এদিকে আসন্ন ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সফল করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু।

রাবি ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ কামারুজ্জানের জন্মভিটা ও হযরত শাহ মখদুমের পূণ্যভূমি রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ক্লিন সিটি গ্রিন সিটি রাজশাহীর রূপকার ও আধুনিক স্মার্ট রাজশাহীর আলোকবর্তিকা মেয়র খায়েরুজ্জামান লিটন ভাইয়ের নির্দেশনায় এই সম্মেলনকে সফল করতে আমরা রাবি ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে