আবারও নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন যেসব এমপি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩; সময়: ১২:৫০ অপরাহ্ণ |
আবারও নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন যেসব এমপি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ শুরু করেছে বহু আগে থেকেই। ৩০০ আসনেই চালানো হয়েছে একাধিক জরিপ। সবগুলো জরিপেই ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে ৯৭ জন সংসদ সদস্যের নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তা পাওয়া গেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলেও এই ৯৭ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত।

সরকারি নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৭ জন সংসদ সদস্যরা আবারও দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এই সব প্রার্থীদের ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। কোন বড় রকমের নাটকীয়তা না হলে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। বিভিন্ন জরিপের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে এই তালিকা তৈরী করেছে বলে সাংবাদ মাধ্যমটি জানাচ্ছে।

এই তালিকায় রাজশাহী বিভাগের আটজনের নাম রয়েছে। এরা হলেন, রাজশাহী-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৬ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নাটোর-২ আসনে শফিকুল আসলাম শিশুল, নাটোর-৩ আসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জয়পুরহাট-২ আসনে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাফিল জয় ও পাবনা-১ আসনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। বাংলা ইনসাইডারে প্রকাশিত তালিকা পদ্মাটাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এদিকে, দিকে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে নির্বাচনী আসন গুলোতে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এই জরিপে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যেমন যাচাই করা হয়েছে তেমনি আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ গুলোর সম্পর্কেও তথ্য-উপাত্ত উঠে এসেছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ৩টি জরিপে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে অন্তত ১০০টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই। এই আসন গুলোতে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তারা জনপ্রিয়তার দিক থেকে সমান সমান। এদের কারণে আওয়ামী লীগ বিভক্ত। এদের যেকোনো একজন প্রার্থী হলেই আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু তারা একে অপরের ক্ষতি করছে। একের অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। এর ফলে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরকম ১০০টি আসন চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এই ১০০টি আসনে অবিলম্বে অন্তঃকলহ এবং দলের বিরোধ বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে জরিপের প্রতিবেদনে।

সূত্রমতে, যে সমস্ত আসনগুলো এতদিন ধরে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত ছিল এরকম আসনের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে অন্তঃকলহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। যেখানে প্রতিনিয়ত একপক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের বিরোধ লেগে আছে। এই বিরোধ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জরিপগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জরিপের এই সমস্ত তথ্য-উপাত্তগুলোর কথা স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি জনপ্রিয় দলে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হলো যে ১০০টি আসনে প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ করছেন। একে অন্যকে মাঠে দাঁড়াতে দিতে চাইছেন না। তাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি, সন্ত্রাস-সহিংসতা এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বর্তমান এমপি, সাবেক এমপি এবং এবার মনোনয়ন লাভে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মধ্যে বিরোধ এখন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে যদি এই বিরোধ নিষ্পত্তি না করা যায় তাহলে এ নিয়ে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে।

আওয়ামী লীগের ওই নেতা আরও বলেন, এমপিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য না দেয়ার জন্য দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে। এ নির্দেশনা না মেনে যারা বর্তমান এমপিদের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি, সন্ত্রাস-সহিংসতা করেছে তাদের তালিকা হাইকমান্ডের হাতে এসেছে। তারা কোনভাবেই এবার দলের মনোনয়ন পাবেনা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে