জয়পুরহাটে গণশুনানীতে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্ম নিবন্ধক
নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে মতবিনিময় ও গণশুনানীতে এসে সমাবায়ীদের তোপের মুখে পড়েন সমবায় রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মোঃ মোখলেছুর রহমান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ) সকাল এগারোটায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে এ মতবিনিম ও গণশুনানীতে এ ঘটনা ঘটে। জেলা সমবায় কার্যালয় এ মতবিনিময় ও গণশুনানীর আয়োজন করে। মতবিনিময় ও গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্মনিবন্ধক মোখলেছুর রহমান। জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির সভাপতি-সম্পাদক ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানীতে অংশ নেওয়া সমবায় সমিতির সদস্যরা জানান, গণশুনাতে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুৃর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া যুগ্ম নিবন্ধকের কাছে জেলা সমবায় কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি নিজেও দীর্ঘদিনে অভিযোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা কোন ব্যবস্থা নেননি। জেলায় হাজারো সমবায় সমিতির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এসব সমিতির নামে সুদের ব্যবসা করা হচ্ছে। আবার আমানতও সংগ্রহ করছে। জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ জেলার সমবায় ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। জেলা সমবায় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে যুগ্মনিবন্ধকেরর কার্যালয়ে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো সুফল মেলেনি। এসময় যুগ্মনিবন্ধক সমবায়ীদের তোপের মুখে পড়েন।
আঁখ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি সুমন মিয়া বলেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা যোগদানের পর সমবায়ের কোয়াটারে থাকছেন। তাঁর কাছে ৩৪ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। তিনি ভাড়া দিচ্ছেন না। তিনি মতবিনিময় ও গণশুনানী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুগ্মনিবন্ধক মোঃ মোখলেছুর রহরমানের উদ্দেশে বলেন, আপনি মতবিনিময় ও গণশুনানী করছেন। আপনার বিরুদ্ধেই আমার অভিযোগ। আপনার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছি। আপনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আপনারা সবাই তো একই। লোক দেখানো এসব মতবিনিময় ও গনশুনানী করে কি লাভ। আমরা তো কোনো প্রতিকার পাইনি।
যুগ্ম নিবন্ধক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, সব ব্যর্থতার দায় আমার নিজের। আপনারা যে সব বিষয় অভিযোগ করেছেন তা দেখা হবে। তিনি প্রসঙ্গে বলেন, একাই সবকিছু দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না।