নওগাঁয় পা বিহীন গরুর বাছুরের জন্ম , দেখতে উপচে পড়া ভীড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : গাভীর পেট থেকে বের হওয়ার পর দেখা যায় বাছরের কোন পা নাই। পা বিহীন জন্ম হয়েছে বাছরের। প্রথমে দেখে এলাকার সবাই অবাক। জন্মের পর বাছুরটিকে সরকারী পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার বলেন পা বিহীন বাছরটি সম্পুর্ন সুস্থ্য আছে। পরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পা না থাকায় বাছুরটির মায়ের দুধ খেতে অনেক সমস্যা হয়। তাই ফিডারে করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা মালিকের।
নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পুর্ব পাড়া এলাকায় সামসুন নাহার স্বামী ও এক প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে নিয়ে বসবাস করেন। বছর পাঁচেক আগে হাট থেকে একটি দেশী জাতের গাভী কিনে অন্যের কাছে বর্গা (আদি) দেন। সেখানে ৩টি বাছর জন্ম হয়েছিলো সুস্থ্য ও স্বাভাবিক। এ বছর বর্গা থেকে নিয়ে এসে বাড়িতে পালন করছেন গাভীটি। গত মঙ্গলবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর ) সকালে গাভীটি পা বিহীন একটি বাছরের জন্ম দেয়। এতে করে দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ভীড় জমিয়েছেন বাছুরটিকে দেখার জন্য।
সামসুন নাহারের অভাবের সংসারে গাভীটি সৌভাগ্য নিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু বাছরটি জন্মের পর থেকে হতবাক তিনি ও তার পরিবার। তিনি জানান- বাছুরটিকে জন্মের পর থেকে মায়ের দুধ কোলে তুলে খাওয়াতে হচ্ছে। এছাড়া চলা ফেরা করতে না পারায় সব সময় দেখে মনে হয় কষ্টের মধ্যে থাকে। প্রতিদিনই দুরদুরান্ত থেকে মানুষ আসছে বাছুরটি দেখতে। সৃষ্টিকর্তা তাদের ঘরে পা বিহীন বাছুর দিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে বাছরটি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান- তারা কোন দিন এমন গরুর বাছুর দেখন নি বা শোনেন নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাছুরটি দেখতে ভীড় জমান মানুষ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকলে আসছে দেখতে। এটি পৃথিবীতে একটি বিরল দৃষ্টান্ত বলে তারা মনে করেন। তারা জানান- সৃষ্টিকর্তার এমন সৃষ্টি যখন করেছেন তার চলাফেরার সু ব্যবস্থাও তিনি করবেন। তবে এমন বাছুরের জন্ম হওয়ায় বাছুরটি চলাফেরা ও খাওয়াতে সমস্যা হওয়া দেখে তাদের কষ্ট লাগছে। যদি কোন সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে চলাফেরা করার মত তাহলে হয়তো বাছুরটির কষ্ট কিছুটা লাগব হবে বলে তারা মনে করেন।
এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও আছে বলে জানান নাই সংশ্লিষ্টদের। তবে লালন পালন করে বাছুরটি বড় হলে এর বিশ্বব্যাপী চাহিদা থাকবে বলে তারা মনে করেন।