বাড়তি উৎপাদন সত্ত্বেও আলুর বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩; সময়: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ |
বাড়তি উৎপাদন সত্ত্বেও আলুর বাজারে অস্থিরতা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জমি থেকে ফলন তোলার পর ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছিলেন বগুড়ার কৃষকরা। সেই আলু হিমাগারে রাখার খরচের পরও আড়তদারদের দাম দাঁড়ায় ২২ টাকা, অথচ খুচরা বাজারে ৪০ টাকার কমে কোনো আলুই কিনতে পারেন না ভোক্তারা। মাঠ পর্যায়ের খুচরা বাজারে আলুর দামের এই পার্থক্যের কারণ জানে না কৃষি বিভাগ।

গত মওসুমে বগুড়ার ১২ উপজেলায় ৫৩ হাজার দুইশ’ ১৫ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয় ১২ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন।

সে সময় জমি থেকে ফলন তুলে মহাজন ও আড়তদারদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছিলেন চাষিরা।

কৃষকের কাছ থেকে স্বল্প দামে কেনা আলু হিমাগারে সংরক্ষণের পর এখন বাজারে এর খুচরা দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বছর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে। এরপরও হিমাগারে রাখার খরচসহ আলুর দাম পড়ে ২২ টাকা। তাই সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকায় আলু বিক্রি করলে আড়তদারদের লোকসান হবে না, বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, স্বার্থান্বেষী ও মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য এবং শেষ সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কিছু মানুষ সম্পৃক্ত থাকতে পারে।

নির্ধারিত দামে ডিম মিললেও কমছে না আলু, পেঁয়াজের মূল্যনির্ধারিত দামে ডিম মিললেও কমছে না আলু, পেঁয়াজের মূল্য

এদিকে মাঠ পর্যায় থেকে খুচরা বাজারে আলুর দামের তারতম্য নিয়ে কথা বলতে রাজি নন জেলার কৃষি কর্মকর্তা।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মুহাম্মদ মশিদুল হক বলেন, যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে তারা আগে চাষিদের সাথে চুক্তি করবে, সেক্ষেত্রে চাষিরা ভালো দাম পাবে। বাজারে আলুর দাম বাড়ছে এটা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করি।

কৃষি বিভাগের হিসাবে, দেশে বছরে ৯০ লাখ মেট্রিক টন আলুর চাহিদা বিপরীতে গেলো মওসুমে উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বাড়তি উৎপাদনের পরও আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে