কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে ট্রেনে চড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩; সময়: ৩:২২ অপরাহ্ণ |
কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে ট্রেনে চড়লেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন পূরণের দিন পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করে নিজ হাতে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে বিশেষ ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। আরও ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করতে মঙ্গলবার সকালে সড়কপথে মাওয়া রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছান তিনি।

সেখানে অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরপর তিনি আসেন রেল স্টেশনে। সেখানে প্রবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী কাউন্টারে দাঁড়ান এবং টাকা বের করে রেলের কাউন্টারের বিক্রয় কর্মীর কাছ থেকে টিকেট কেনেন। এ সময় শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও কাউন্টার থেকে টিকেট কেনেন।

পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল বদল ঘটে গেল।

এছাড়া ঢাকা ও কলকাতায় যাতায়াতের জন্য যারা রেলপথ ব্যবহার করেন তাদের সময় বাঁচবে অনেক। সব মিলিয়ে দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো এদিন।

টিকেট কেনার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের কাছে এগিয়ে যান। তিনি সবুজ পতাকা নেড়ে ও হুইসেল বাজিয়ে সিগন্যাল দেয়ার পর শুরু হয় স্বপ্নের ট্রেন যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী আসনে গ্রহণের পর ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ১৪ কামরার উদ্বোধনী ট্রেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙ্গায় পৌঁছে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছেন।

গত বছর জুন মাসে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় পদ্মা সেতু। রেল পথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতু ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলে এই রুটে।

এতদিন ঢাকা থেকে খুলা পর্যন্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে থেকে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস চলতো বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে। এখন এই ট্রেনগুলো গন্তব্যে যাবে পদ্মা সেতু হয়ে।

এছাড়া মধুমতি এক্সপ্রেসের গোয়ালন্দ-ঢাকা রুট বদলে ফেলা হচ্ছে। এই ট্রেনটি পদ্মা সেতু ব্যবহার করে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচল করবে। ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।

এদিকে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে