জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩; সময়: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করতে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের সিক্স সিজনস হোটেলে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের পটভূমিতে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশে দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, যারা নিরাপদ ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা বাড়িঘর, জীবিকার উৎস হারিয়ে দারিদ্র্যের প্রান্তিকতায় দাঁড়িয়ে, তাদের প্রতি আরও মানবিক হওয়ার জন্য আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সব দেশগুলোর সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান, বাংলাদেশের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ভূমির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

বর্তমান সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি ভূমি সংস্কারে আইন পরিবর্তন, নতুন আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু ভূমি নিয়ে যে সমস্যা চলমান আছে তা থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন।

ভূমিহীন মানুষের পক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ এখনো রয়েছে। হাজার বছরের পুঞ্জীভূত ভূমি অপরাধ নিরসনে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এনগক’র নির্বাহী পরিচালক নাথানিয়েল ডন মার্কেজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘন ঘন সংঘটিত তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভূমির অবক্ষয়, ভূমিহীনতা এবং সম্পদহানি ঘটছে। ফলে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ স্থায়ী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

অধিবেশনের সভাপতি খুশি কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা। আমরা অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন, চুক্তি ইত্যাদি দেখছি, কিন্তু সত্যিকারের কোনো সমাধান আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সব যেন কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ।

যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে? বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিশেষ করে উন্নত রাষ্ট্র যত প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের যে উদ্যোগ তা দেখে মনে হয় না যে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার কোনো সদিচ্ছা আছে।

এছাড়াও উদ্বোধনী পর্বে অনলাইনে যুক্ত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জিএফএআরের নির্বাহী সচিব হিলডেগার্ড লিংনাউ এবং জিএলটিএন এর সচিব রবার্ট লুইস লেটিংটন।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রায় আটটি দেশের ১৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে