পদ্মা সেতুতে ট্রেনে গান গাইলেন অভিনেতা বাবু ও ফেরদৌস

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩; সময়: ১:৩৮ অপরাহ্ণ |
পদ্মা সেতুতে ট্রেনে গান গাইলেন অভিনেতা বাবু ও ফেরদৌস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মঙ্গলবার পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই ট্রেনে ফরিদপুর যান দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এ তালিকায় ছিলেন দেশের শোবিজ ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকারা। এর মধ্যে নন্দিত অভিনেতা ও গায়ক ফজলুর রহমান বাবুও ছিলেন। তাদের সঙ্গে একই বগিতে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। ট্রেন ভ্রমণের সময় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন প্রতিমন্ত্রী।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর লাইভে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ সিনেমায় নিজের গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় ‘নিথুয়া পাথারে’ গান গেয়ে বগিতে উপস্থিত সবাইকে শোনাতে দেখা যায় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে।

এ ছাড়াও মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামের গানটিও গাইতে দেখা যায় তাকে। এ সময় তার সঙ্গে সুর মেলান চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

এ সময় তাদের সঙ্গে আরও দেখা যায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে।

এদিকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি বেলা ১১টায় মাওয়া প্রান্তে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, চীনের রাষ্ট্রদূত ও রেল সচিব হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাওয়া-ভাঙ্গা অগ্রাধিকার অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৯৭.৫০ শতাংশ।

ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। ভাঙ্গা-যশোর সেকশনের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। ঢাকা-যশোর সেকশনে নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। ২০টি স্টেশনের মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে তিনটি। প্রকল্প অনুযায়ী, শত কোচ সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা যেতে বাসযাত্রীদের খরচ পড়ে ২৫০ টাকা আর এসিতে ৫০০ টাকার মতো। রেল মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এ রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণে রেলওয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। এ অনুযায়ী পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে ভাঙ্গা যেতে যাত্রীদের আন্তঃনগর ট্রেনে (নন-এসি) চেয়ার কোচে ভাড়া গুনতে হতে পারে ৩৫৫ টাকা।

এসি চেয়ারে ৬৭৯ টাকা। সব মিলিয়ে বাসের চেয়ে ট্রেনে গুনতে হবে ১০৫-১৭৯ টাকা পর্যন্ত বেশি। ভাড়া প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে প্রতিটি গন্তব্যের বাস্তব দূরত্বের সঙ্গে পদ্মা সেতু ও গেণ্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের জন্য বাড়তি দূরত্ব যোগ করেছে রেলওয়ের কমিটি। রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরা হয়েছে। একে রেলওয়ে পন্টেজ চার্জের জন্য বাড়তি দূরত্ব বলা হচ্ছে। আর গেণ্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। এ জন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার প্রকৃত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ে আদায় করতে চায় ৩৫৩ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া।

পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে যে পাঁচ ট্রেন : প্রাথমিকভাবে শুরুতে পদ্মা সেতু দিয়ে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিকে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে